বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষককে টেট (TET) পাস করতে হবে। শীর্ষ আদালতের এই রায় সামনে আসতেই শিক্ষকমহল নড়েচড়ে বসেছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সম্প্রতি এই মামলা নয়া মোড় নিয়েছে।
টেট মামলায় নতুন মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন এবং রিভিউ পিটিশন | TET
সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন (Modification Application) দাখিল করা হয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৪ই অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গলবার বিমল কুমার বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া মামলায় একটি মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন ফাইল করা হয়েছে। যা ১লা সেপ্টেম্বরের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে করা হয়েছে।
এদিকে রিভিউ পিটিশনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বে দায়ের করা ১০টি রিভিউ পিটিশন এবং একটি রিট পিটিশনের সাথে নতুন করে আরও দুটি রিভিউ পিটিশন যুক্ত হয়েছে। তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকার ও কেরালা স্কুল টিচার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে রিভিউ পিটিশনের সংখ্যা ১২টি এবং ১টি রিট পিটিশন রয়েছে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল, যাদের পাঁচ বছরের বেশি চাকরি আছে এবং যারা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানোর জন্য টেট পাশ করেননি, সেই সকল শিক্ষককের টেট পাশ করা বাধ্যতামূলক।এনসিটিই-এর ২০১০-১১ সালের বিজ্ঞপ্তির তারিখের আগে যাদের নিয়োগ হয়েছিল অথবা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রে ছাড়ের জন্য এই মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে আবেদন সেই সকল শিক্ষকদের জন্য স্বস্তি আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে শমীক ভট্টাচার্য! রাজ্য সভাপতির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালেন সুকান্ত মজুমদার
আরও একটি বিষয় তুলে ধরা হতে পারে তা হল সময়সীমা বৃদ্ধি। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, টেট পাশ করতে হবে দুই বছরের মধ্যে, যা ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর। মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে এই সময়সীমাকে অন্তত পাঁচ বছর করার জন্য আবেদন করা হতে পারে। এবার মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন গুলো কি কোনও পরিবর্তন আনতে পারে কি না তা সময়ই বলবে।