সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ! TET নিয়ে রাজ্যের শিক্ষকদের জন্য সর্বশেষ আপডেট

Published on:

Published on:

tet(5)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টেট নিয়ে টালবাহানা চলছে। সম্প্রতি টেট (TET) সংক্রান্ত মামলা এক নয়া মোড় নিয়েছে। চাকরি বাঁচাতে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে শিক্ষকদের। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যত অন্ধকারে। কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষককে টেট পাস করতে হবে।

টেট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জোড়া রিভিউ পিটিশন | TET

ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত মোট ২৭টি রিভিউ, রিট পিটিশন এবং মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আবার এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দুটি প্রভাবশালী শিক্ষক সংগঠনও এই রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবিতে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

জানিয়ে রাখি, অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচারস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচারস অ্যাসোসিয়েশন (BGTA) রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে সুপ্রিম দুয়ারে গিয়েছেন। তাদের বক্তব্য ২০১১ সালে যখন ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE) প্রথম টেট বাধ্যতামূলক করার নিয়ম চালু করে, তার আগে নিযুক্ত শিক্ষকদের যেন ছাড় দেওয়া হয়, মূলত তাদের যাতে এই নিয়মের আওতায় না আনা হয়।

এক্ষেত্রে সংগঠনগুলির যুক্তি, আইন কার্যকর হওয়ার আগের নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রযোজ্য কি ভাবে হয়? পাশাপাশি ২০১৭ সালের একটি সংশোধনীতে টেট সংক্রান্ত নিয়মকে ‘রেট্রোস্পেক্টিভ এফেক্ট’ বা পূর্ববর্তী সময় থেকে কার্যকর করার উল্লেখ ছিল। এর সরাসরি বিরোধীতা করে সংগঠনগুলির বক্তব্য, এর ফলে বহু কর্মরত শিক্ষকের চাকরির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।

বর্তমানে রিভিউ পিটিশনগুলিতে থাকা পদ্ধতিগত ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন বা ‘কিওর’ চলছে। এই প্রক্রিয়া মিটলে মামলাগুলি বিচারপতিদের চেম্বারে বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। তারপর বিচারপতিরা কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে নজর রয়েছে সকলের।

tet(3)

আরও পড়ুন: ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু শীতের! চলতি সপ্তাহে কতটা নামবে তাপমাত্রা? আজকের আবহাওয়ার খবর

উল্লেখ্য, সুপ্রিম নির্দেশ ছিল, টেট উত্তীর্ণ নয় এমন শিক্ষকদের পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে ওই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এমনটা না হলে চাকরি ছাড়তে হবে, অথবা, চূড়ান্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের পথে হাঁটতে হবে। তবে যাঁরা আগামী পাঁচ বছরে অবসর নেবেন, তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয় সুপ্রিম রায়ে। এবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।