বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরও একবার বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরাগ ভাজন হলো সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। আজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে কেন নেই সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা? কলকাতা উচ্চআদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে বেকায়দায় পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যুগ্ম অধিকর্তা যদি সিটের নেতৃত্ব না দিতে পারেন তা হলে উপেন বিশ্বাসকে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেটা আপনাদের জন্য ভাল হবে তো? যুগ্ম অধিকর্তা এন বেণুগোপালকে তদন্ত পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, ছয় জন আধিকারিককে নিয়ে একটি সিট গঠন করা হয়েছে। তদন্তকারী দলের মাথায় রয়েছেন একজন সুপারিনটেনডেন্ট পদমর্যাদার আধিকারিক। দলে থাকবেন এক জন পুলিশ সুপার, দু’জন ডেপুটি সুপার ও বাকিরা ইনস্পেক্টর। রাজীব মিশ্রের নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত হবে বলে জানান তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। জানা যাচ্ছে,এই মামলার তদন্তে যুগ্ম অধিকর্তা পর্যায়ের আধিকারিককে ইন-চার্জ করার সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা উপেন বিশ্বাস।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর বক্তব্যের উপর নির্ভর করে বিচারপতি বলেন, ‘যুগ্ম অধিকর্তা যে দায়িত্বেই থাকুন না কেন, এই মামলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে। ১০ মিনিট সময় দিলাম। জেনে বলুন।’ এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘যুগ্ম অধিকর্তাকে আমি এই সিটের মাথায় দেখতে চাই।সেটা আপনারা পারবেন কি না বলুন। না হলে আমি বাধ্য হব উপেন বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেব। সেটা ভাল হবে তো?’ এর পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সিটের মাথায় নজরদারি এবং তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগ্ম অধিকর্তা এন বেণুগোপালকে।’
সিটে যে ৬ জনের নাম সুপারিশ করেছে সিবিআই তাঁরা হলেন, ধরমবীর সিংহ (এসপি) , সত্যেন্দ্র সিংহ (ডিএসপি),কেসি ভিসিনামূল , সোমনাথ বিশ্বাস (ইনস্পেক্টর) মলয় দাস (ইনস্পেক্টর),ইমরাম আশিক (ইনস্পেক্টর)। তবে কেসি ভিসিনামূলকে পরিবর্তন করার দাবি জানানো হয়। তখন বিচারপতি বলেন এই অফিসারকে পরিবর্তন করতে হলে মামলাকারীর সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।