বাংলাহান্ট : অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যার (Suknya Mandal) সম্পত্তির ওপর নজরদারি শুরু করেছে সিবিআই। এবার সুকন্যার বিরুদ্ধে উঠল আরও বিস্ফোরক অভিযোগ। টেট পাশ (TET Scam) না করেই প্রাথমিকে চাকরি পান সুকন্যা মণ্ডল। কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায়, এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, স্কুলে যেতেনই না সুকন্যা। তাঁকে সই করানোর জন্য রেজিস্ট্রার আসত বাড়িতে। কিন্তু মাসে মাসে মাইনেটা ঠিক তিনি তুলে নিতেন বলে জানা যায়।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে সিবিআই হেফাজতে রয়েছে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল বীরভূমের বোলপুরের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। সেই চাকরিতে নিয়োগ নিয়েই এবার সামনে এল বেনিয়মের অভিযোগ। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে জানান, সুকন্যা নাকি টেট পাশই করে নি। তারপরও বাবার প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পায় বাড়ির কাছের স্কুলেই। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও এ দিন আদালতে জমা দেন আইনজীবী শামিম। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বিরুদ্ধে ববিতা সরকার যে মামলা করেন, তারও আইনজীবী ছিলে এই ফিরদৌস শামিম।
পরেশ অধিকারীর মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসে মন্ত্রী বাবার প্রভাব খাটিয়েই নিয়োগ প্যানেলে নাম তোলায় সে। এবার একই রকম ভাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে পড়লো তৃণমূলের আরও এক প্রথম সারির নেতার নাম। তবে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে আলাদাভাবে কোনও মামলা দায়ের হয়নি।
সুকন্যার সম্পত্তির উপর অনেক আগে থেকেই নজর রেখেছে সিবিআই। বুধবার সকালে আবারও বোলপুর পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। উদ্দেশ্য সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা। কিন্তু, মানসিক অবস্থা ঠিক নেই, এই অজুহাত দিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের ফিরিয়ে দেন তিনি। সুকন্যা জানান, তাঁর বাবা সিবিআই হেফাজতে, মা সদ্য প্রয়াত হয়েছেন, তাই মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত তিনি। সিবিআইয়ের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো মনের অবস্থা তাঁর নেই।
তবে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র সুকন্যাই নয়, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে টেট পাশ না করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন আইনজীবী শামিম। তাঁদের প্রত্যেককে নিয়োগপত্র সঙ্গে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়।