‘উনি কীভাবে এই কাজ করলেন..,’ হাইকোর্টে উঠল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ, কোন মামলায়?

Published on:

Published on:

calcutta high court(18)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিকের টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় (TET Scam) বড় প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। প্রাথমিকের ৩২০০০ মামলায় উচ্চ আদালতের প্রশ্ন, চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কে যোগ্য আর কে অযোগ্য তা বাছাই করা হবে কীভাবে? এর উত্তর দিতে পারেননি কর্মরত শিক্ষকদের আইনজীবী।

টেট মামলায় আদালতের বড় মন্তব্য | Calcutta High Court

সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতুব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির জন্য ওঠে। বিচারপতি চক্রবর্তীর প্রশ্ন, “কারা অনিয়মের সুযোগ নিয়েছেন এবং কারা নেননি সেটা কীভাবে বাছাই করা হবে? এদিকে কর্মরত শিক্ষকদের আইনজীবীর প্রশ্ন, “যাঁরা কোনও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নয়, এবং কোনও অন্যায় সুযোগ নেননি তাঁরাও কি এর শাস্তি পাবেন?”

একইসাথে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে আইনজীবী বলেন, “বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাকরিরত বহু এরম শিক্ষককে তাঁদের বক্তব্যই পেশ করার সুযোগ দেননি।” তাঁদের বক্তব্য না শুনেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কীভাবে এত সংখ্যক চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন সেই প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী। ৩২০০০ জনই অন্যায় সুযোগ-সুবিধা নেননি বলে সওয়াল আইনজীবীর।

বিচারপতি চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, “কেউ কেউ তো নিয়ে থাকতে পারেন। তাঁদের আলাদা করা হবে কোন উপায়ে?’ বিচারপতির প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী। আগামী ২১ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

Calcutta High Court

কোন মামলা?

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সাল থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৪২ হাজার ৯৪৯ জন চাকরি পান। কিন্তু, নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে একাধিক ‘ক্রুটি’র কথা জানিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর প্রেক্ষিতে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেন। নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যকে।

আরও পড়ুন: রেকর্ড করা হলুদ ধাতুর দর, তবুও লগ্নির ক্ষেত্রে চাহিদা বেড়েছে সোনার বিস্কুট ও স্বর্ণ মুদ্রার, প্রকাশ্যে চমকে দেওয়া রিপোর্ট

এরই মধ্যে হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেই মামলাই বর্তমানে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চে চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি ঝুলছে।