বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: রোহিত শর্মা সহ ভারতীয় দলের মূল তারকার উড়ে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে। এরইমধ্যে আজ থেকে শুরু হল ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকলেও এই সিরিজটি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্রিকেটারের জন্য। সামনের বছর ঘরের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। সেই বিশ্বকাপের আগে ভালো পারফরম্যান্স করে দলে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন চলতি সিরিজে অংশগ্রহণ করা অনেক দ্বিতীয় সারির ক্রিকেটারই।
শিখর ধাওয়ানের নেতৃত্বে আজ লখনউয়ের ‘ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে’ তেম্বা বাভূমার দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরু হতে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে। যার ফলে ম্যাচের প্রতি ইনিংস থেকে ১০ ওভার করে কমিয়ে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে ১০০-র বদলে ৮০ ওভারের।
রোহিত, বিরাট, রাহুল, পন্থ, ভুবনেশ্বর, চাহালদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে আজ বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটারকে মাঠে নামতে দেখা গেছে। আজ ওডিআই ফরম্যাটে অভিষেক ঘটেছে রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং রবি বিশ্নইয়ের। বাকি যারা দলে আছেন তাদের প্রত্যেককেই কম-বেশি ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা গেছে কিন্তু তারা প্রত্যেকে একসঙ্গে আগে কোনও শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে এই ফরম্যাটে মাঠে নামেননি। তারই মধ্যে আজ টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক ধাওয়ান।
প্রথম উইকেটে জানেমান মালান এবং কুইন্টন ডি ককের মধ্যে একটি ভালো পার্টনারশিপ হয়। ১৩ তম ওভারের প্রথম বলে দলগত ৪৯ রানের মাথায় সেই পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন শার্দুল ঠাকুর। নতুন বল হাতে আবেশ খান এবং মহম্মদ সিরাজ রান আটকে রাখলেও কোনও সাফল্য পাননি। এরপর ২২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তেম্বা বাভূমার অফফর্ম অব্যাহত এবং সেইসঙ্গে আজ হতাশ করেছেন এইডেন মার্করমও।
১১০-এর দলগত স্কোরের মাথায় যখন কুইন্টন ডি কক (৪৮) ফিরে যান তখন সকলেই আশঙ্কা করেছিলেন যে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কম রানে আটকানো যাবে। কিন্তু অন্যরকম কিছু মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ছিলেন ডেভিড মিলার এবং হেনরিক ক্লাসেন। আজ ডেবিউ করার রবি বিশ্নইয়ের ওপর আক্রমণ করেন মিলার। ডি ককের উইকেট নিলেও আজ বেশকিছু রান বিলিয়েছেন এই তরুণ লেগস্পিনার। ডেথ ওভারে ভারতের সমস্যা ওডিআই ফরম্যাটেও প্রকট। ৩০ থেকে ৪০ তম ওভারের মধ্যে ৮৫ রান তুললো দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনও উইকেটও পড়লো না ওই সময়ে। মিলারের ৬৩ বলে ৭৫ ও ক্লাসেনের ৬৫ বলে ৭৪ রানের দৌলতে ৪০ ওভারে ভারতকে ২৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে প্রোটিয়া শিবির। ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বোলিং করে ৮ ওভারে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শার্দূল। অসাধারণ একটি ডেলিভারিতে মার্করমের উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ যাদবও। রান তাড়া করতে নেমে ৩ ওভার শেষে শুভমান গিলকে হারিয়ে ৮ রান তুলেছে ভারত।