বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জীবনে গঙ্গাজলের (Ganga water) নিয়মিত প্রয়োগের ফলে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রভাব অনেক কমে যায়। গঙ্গার জল যারা পান করেন, আর যারা গঙ্গার জলে স্নান করেন, তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়া চ্যান্স খুবই কম। একটি গবেষণায় এই কথা জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বানারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে IMS এর টিম গঙ্গা নদীর পাশে থাকা মানুষদের উপর করোনার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণার পর জানা যায় যে, যারা নিয়মিত গঙ্গার জল ব্যবহার করে, তাঁদের মধ্যে করোনার প্রভাব মাত্র ১০ শতাংশ। এই গবেষণা আমেরিকার ইন্টারন্যাশানাল জার্নাল অফ মাইক্রো বায়োলজির (International Journal of Microbiology) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, IMS এর টিম রবিবার পঞ্চগঙ্গা ঘাতে ৪৯ জনের স্যম্পেল নেয়। এরপর সেগুলো পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় ৪৮ জন নেগেটিভ আর একজন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে টিম বুধবার ভদৈনি, তুলসীঘাট, হরিশচন্দ্র ঘাট আর চেতসিং ঘাটে ৫৪ জনের স্যাম্পেল টেস্ট করে। তখন সবারই কোরনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
গবেষণায় এও জানা গিয়েছে যে, নিয়মিত গঙ্গা স্নান আর গঙ্গাজলের কোনও না কোনও ভাবে সেবন করা ৯০ শতাংশ মানুষদের করোনার সংক্রমণ নেই। গবেষণার জন্য অনেকেরই স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছিল। BHU এর নিউরোলজি বিভাগের ডঃ রামেশ্বের চৌরসিয়া। নিউরোলজিস্ট প্রো বি এন মিশ্রার নেতৃত্বে কাজ করা টিম এই গবেষণার পর দাবি করেছে যে, গঙ্গাজলে স্নান করা ৯০ শতাংশ মানুষ করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে আছে। এছাড়াও যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তাঁরাও দ্রুত সুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রোফেসর বিএন মিশ্রা জানিয়েছেন যে, গবেষণার জন্য গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ১০০ টি জায়গার স্যাম্পেল নেওয়া হয়েছে। করোনার রোগীদের ফেজ থেরাপির জন্য গঙ্গাজলের নেজল স্প্রেও তৈরি করা হয়েছে। আর সেটির রিপোর্ট IMS এর এথিক্যাল কমেটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রোফেসর বি ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন ১২ সদস্যের এই এথিক্যাল কমেটির সহমতিতে হিউম্যান ট্রায়ালও শুরু হয়ে যাবে। বিএন মিশ্রা জানান, কমেটির সহমতির পর ২৫০ জনের উপর ট্রায়াল করা হবে। বাছাই করা মানুষদের নাক দিয়ে গঙ্গালজ এবং প্লেন ডিস্টিল ওয়াটার পাঠানো হবে। এরপর গবেষণা করে রিপোর্ট ICMR কে পাঠানো হবে।