অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে ঘটে গেল বিরল ঘটনা। ডাক্তারদের ভুলে নষ্ট হয়ে গেল এক প্রতিভাবান ক্রিকেটারের জীবন। ভুল করে সেই ভুল লুকোনোর জন্য আরও বড়ো ভুল করে ফেলেন ডাক্তাররা আর তাতেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। ব্রিটনি থমাস নামের 17 বছরের এক অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারের হাতের আঙ্গুলে চোট লাগে খেলা চলাকালীন সেই সময় প্রচন্ড ব্যাথায় ছটফট করতে থাকে সে। তাই এই ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে যান ব্রিটনি। চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা ব্রিটনিকে জানান যে ছোটো একটা অপারেশন করতে হবে আঙ্গুলে তাহলেই কোনো সমস্যা ছাড়া আবার আগের মত হয়ে যাবে আঙ্গুল। আর তাই ডাক্তারদের পরামর্শে রাজি হয়ে যান তিনি।
তারপর করা হয় ব্রিটনির অপারেশন কিন্তু অপারেশনের পরে অদ্ভুত ভাবে সেই আঙ্গুলে প্লাস্টার করে দেন ডাক্তাররা। কিন্তু বাড়ী যাওয়ার পর থেকেই সেই আঙ্গুলে শুরু হয় তীব্র যন্ত্রণা। তাই ফের ছয় দিন পর হাসপাতালে আসে ব্রিটনি এবং তার পরিবার। কিন্তু হাসপাতালে এসে চক্ষু কলাপে উঠে ব্রিটনির। কারণ প্লাস্টার খুলে দেখা যায় ব্রিটনির সেই আঙ্গুলে পচন ধরে গিয়েছে। আঙুলের পুরোটাই কালো হয়ে গেছে রক্ত জমাট বেঁধে। আর এই দৃশ্য দেখে ডাক্তাররা বলেন যে আঙ্গুল কেটে ফেলতে হবে। এই কথা শুনে চমকে উঠেন ব্রিটনি এবং তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু বাধ্য হয়ে ডাক্তারদের কথা মেনে আঙ্গুল কেটে বাদ দিতে রাজি হয় ব্রিটনি। কিন্তু এখানেই তাদের বিপদ শেষ হয় না বরং আরও বাড়ে তাদের বিপদ।
অস্ট্রেলিয়ার এক মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে ব্রিটনির হাতের আঙ্গুল কেটে সেখানে পায়ের আঙ্গুল বসিয়ে দেন ডাক্তাররা। আর তারপর থেকেই শরীরের একটি অঙ্গ হারিয়ে ক্রমশ ভেঙ্গে পড়েছেন ব্রিটনি। এই ব্যাপারে ব্রিটনি জানিয়েছেন যে, পায়ের আঙ্গুল কেটে নেওয়ার ফলে এখন আমার শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও পায়ের আঙ্গুল হাতে বসিয়ে দেওয়ার ফলে আমি ব্যাট গ্রিপ করতেও পারি না। ফলে আমার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।