বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও আকাশ ছোঁয়া হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের (Onion) মূল্য। উৎসবের মরশুমে একটু ভালো মন্দ খাওয়ার চোটে পেঁয়াজের দাম শুনেই চোখে জল মানুষজনের। বাজার খরচের প্রায় অর্ধেক দামে পেঁয়াজ কিনলেও, তা পড়ে থাকছে ব্যাগের তলানিতেই।
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা
পেঁয়াজের দামের এই উর্দ্ধগতিতে এবার বাঁধ দিল কেন্দ্র সরকার। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে জারি করল এক নয়া নির্দেশিকা। উপভোক্তা খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের তরফ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, ২৩ শে অক্টোবর থেকে আগামী ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের অতিরিক্ত মজুতদারি করা একদমই যাবে না। এই সময়ের মধ্যে একজন পাইকারি বিক্রেতা নিজের গুদামে ২৫ টনের বেশি পেঁয়াজ মজুত রাখতে পারবেন না। অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা ২ টনের বেশি পেঁয়াজ মজুত রাখতে পারবেন না। আবার সরকারী গুদাম থেকেও পেঁয়াজ আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
বিরোধীদের দাবি
পেঁয়াজের এই লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধিতে বিরোধীরা দাবি করেছেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের এই লাগাম ছাড়া দামের বৃদ্ধির কারণেই কৃষি আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য মজুত আইনে সংশোধন আনা খুবই জরুরী। নতুন আইনে এমন হবে, যেখানে শুধুমাত্র আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি হলেও তবেই সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে, তার আগে নয়। ১০০ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেলে, তবেই সরকার পক্ষে সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।
কর্ণাটক, অন্ধপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে বর্তমান সময়ে অতিবৃষ্টির কারণে অন্যান্য ফসলের মতই পেঁয়াজ উৎপাদনেও বড় ধাক্কা পেয়েছে। এই সকল অঞ্চল পেঁয়াজ উৎপাদনে সেরা হওয়া সত্ত্বেও সেখানে এবছর পেঁয়াজ উৎপাদন সেই হারে হয়নি। তবে কেন্দ্রের আশা, খরিফ মরশুমের পেঁয়াজের আমদানী হতে শুরু করলে, আবারও দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।