বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) থেকে ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে সেই কবে। ক্ষমতা চলে গিয়েছে ত্রিপুরা থেকেও। কিন্তু কেরালা এখনও মুখ ফেরায়নি লাল ব্রিগেডের থেকে। দাপটের সঙ্গে এখনও কেরালায় বামেরাই ‘শাসক’। আর সমীক্ষা বলছে, এখনই যদি কেরালায় বিধানসভা ভোট হয়, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে সেই বামেরাই।
এই মুহূর্তে ভোট হলে কেরলে বড় জয় পাবে বলছে সমীক্ষা। কেরালার আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এক জনমত সমীক্ষা করে সি-৪। তাতে যা উঠে আসে সেই অনুসারে এখনই কেরলে ভোট হলে আবারও ক্ষমতায় ফিরবে বামজোট। যদিও আসন সংখ্যা এবং ভোট শতাংশ দুটোই কিছুটা কমার ইঙ্গিত দিয়েছে এই সমীক্ষা।
সমীক্ষা অনুসারে বাম জোটের ভোট গত বিধানসভা ভোটে প্রাপ্ত ৪৩.৫ থেকে কিছুটা কমে ৪২ শতাংশ হতে পারে। অন্যদিকে ইউডিএফ জোটের ভোট ১ শতাংশ কমে ৩৮ শতাংশ হতে পারে। তবে এনডিএ-র ভোট গতবারের থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে ১৮ শতাংশ হতে পারে।
বিশ্বকে কাবু করে দেওয়া করোনার মধ্যে কেরালাই এখন সব থেকে সুরক্ষিত জায়গা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনে কোনও রাজ্যকে এই প্রথম এই ভাবে ‘সুরক্ষিত জায়গা’ হিসেবে দাবি করেছে সেই রাজ্যের শাসকদল। ৩০ জানুয়ারি প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়ার কয়েক দিন পরেই রাজ্যে ‘হেলথ এমার্জেন্সি’ ঘোষণা করা সেখানে। প্রধানমন্ত্রী দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার আগেই কেরালায় স্কুল, কলেজ, বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আসনের সংখ্যার বিচারে এলডিএফ জোটের আসন বর্তমানের ৯১ থেকে কমে ৮০ হতে পারে। ইউডিএফ-এর আসন থাকতে পারে ৪৭ থেকে ৫৮-র মধ্যে থাকতে পারে। অন্যদিকে এনডিএ-র আসনে ১ ঠেকে বেড়ে ৫ পর্যন্ত হতে পারে।
গত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কেরলে খুব ভালো ফল করে ইউডিএফ। একাই প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কংগ্রেস জোট। অন্যদিকে এলডিএফ ভোট পেয়েছিলো ৩৫ শতাংশ ভোট এবং এনডিএ পেয়েছিলো ১২ শতাংশ ভোট।
গত ১৮ থেকে ২৯ জুন এশিয়ানেট নিউজের করা এই সমীক্ষায় ১০,৪০৯ জনের মতামত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ১৪০ আসনের মধ্যে ৫০টি আসনে এই জনমত সমীক্ষা করা হয়েছে।