বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলার (West bengal) বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই তৃণমূল (All India Trinamool Congress) নেতাদের উপর কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। বর্তমান দিনে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই খবর লাগাতার বেড়েই চলেছে। কাটমানি নিয়ে ক্যানিং (Canning) থেকে এমন এক খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যা শুনে কর্ণে বজ্রাঘাত পড়েছে অনেকেরই।
সরকারী প্রকল্পের টাকা মাকে পাইয়ে দিয়ে সেখান থেকে মোটা অঙ্কের কাটমানি নিল ছেলে। তবে এখানেই শেষ নয়, ছেলে আবার একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ের গোপালপুর পঞ্চায়েতের বধূকুলা গ্রাম থেকে। গত সোমবার রাতের এক গণ্ডগোলের পরিপ্রেক্ষিতে এমনই খবর শোনা গেছে।
মায়ের থেকে কাটমানি নিচ্ছে ছেলে
সূত্রের খবর, বধূকুলা গ্রামের বাসিন্দা আবেদা মণ্ডলের ঘর তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে প্রথম কিস্তি বাবদ ৬০ হাজার টাকা ব্যাংক অ্যাকাউণ্টে ঢোকে। অভিযোগ উঠেছে এই টাকা তার ব্যাংকের ঢোকার পরই তার ছেলে আকছার মণ্ডল ওরফে স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং বউমা তাজকিয়া মণ্ডল, যিনি গোপালপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা, এরা জোর করে তার থেকে কাটমানি বাবদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
মায়ের থেকে কাটমানি নিয়েও মন শান্ত হয় না ছেলের। দ্বিতীয় দফার টাকার জন্য ছেলের কাছে অনুরোধ করলে, সেখান থেকে আরও ১০ হাজার টাকা কাটমানি চায় ছেলে আকছার মণ্ডল এবং বৌমা তাজকিয়া মণ্ডল। তাঁদের দাবী আগে টাকা দিতে হবে, তা না হলে কিস্তির টাকা দেওয়া যাবে না।
অভিযোগ জানায় মা
ছেলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন নস্করের কাছে অভিযোগ জানান মা আবেদা মণ্ডল। উপপ্রধান তাঁদের বাড়িতে জিও ট্যাগিংয়ের ব্যবস্থা করে লোক পাঠান। এরপরই বচসায় জড়ায় দুইপক্ষ, যা হাতাহাতিতে পৌঁছায়। যার জেরেই সমস্ত ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে। এদিকে আবার আকছারের মা এবং অন্য ভাইয়েরা যুব তৃণমূলের সমর্থক।
এই ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মা আবেদা মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘‘প্রথমে ওঁরা একবার ১০ হাজার টাকা নিয়েছে আমার কাছ থেকে। কিন্তু পরে আবারও ১০ হাজার টাকা চাইছে। ব্যাঙ্কে টাকা আসার পর দেব বললেও, ওরা তা কিছুতেই শুনতে চাইছে না। আমরা যুব তৃণমূল করি বলেই হয়ত আমাদের এইভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।”
রাজনীতির রং নেই
ঘটনাটির মধ্যে স্থানীয়রা রাজনীতির রং চড়ালেও, ক্যানিং ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি অর্ণব রায়ও বলেছেন, ”এর মধ্যে কোনও রাজনীতির রং নেই, এটা পুরোটাই তাঁদের পারিবারিক বিষয়”।
অভিযুক্তের দাবী
নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে গিয়ে মা এবং অন্যান্য ভাইয়ের নামে মারধরের অভিযোগ করে আকছার জানিয়েছেন, ”প্রথম দফার টাকা পাওয়ার পরও ওঁরা ঘর করেনি। পরবর্তীতে ওঁরা দ্বিতীয় দফার টাকার জন্য জোর করলেও, তাই আমি দিতে চাইনি। তাই ওঁরা আমাদের উপর হামলা চালায়”।