ঠিক যেন সিনেমা! বিয়ের দিন পাত্র “হাওয়া” হতেই হবু বরকে ২০ কিমি ধাওয়া করে মন্দিরে বিয়ে সারলেন কনে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সেখানকার বরেলিতে (Bareilly) হবু পাত্রকে রীতিমতো পাকড়াও করে বিয়ে করলেন এক কনে।

বিষয়টি জেনে প্রথমে অবাক হয়ে গেলেও ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে। জানা গেছে, বিয়ের দিন বর পালানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু, তাঁর হবু স্ত্রী তাঁকে মাঝপথেই ধরে ফেলেন। তারপরেই একটি মন্দিরেই দু’জনের বিয়ে হয়। এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে বরেলি থানার বড়দারি এলাকার অন্তর্ভুক্ত পুরান শহরে। সেখানকার এক যুবতীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বাদাউন জেলার বিশৌলির এক যুবকের সঙ্গে। গত আড়াই বছর তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। এমনকি, তাঁদের প্রেমকে ঘিরেও একাধিক বিতর্ক হয়। যদিও, শেষপর্যন্ত পরিবারের সম্মতিতে গত ২১ মে তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়।

এমতাবস্থায়, ভুতেশ্বর নাথ মন্দিরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পাশাপাশি, চলছিল প্রস্তুতিও। কিন্তু হঠাৎই মত পরিবর্তন করে ফেলেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, কোনো কারণবশত তাঁর এই বিয়েতে মত ছিল না। এমনকি, তিনি ওই যুবতীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে সুযোগ পেয়েই পালিয়ে যান। এদিকে, কনে বিষয়টি জানতে পেরে ওই ব্যক্তিকে ফোন করেন। তখন ওই যুবক যুবতীকে জানান তিনি তাঁর মাকে আনতে বাদাউনে যাচ্ছেন।

কিন্তু, তারপরেই আসল সত্যিটি জানতে পারেন তিনি। এমতাবস্থায়, বিয়ের পোশাক পরেই প্রায় ২০ কিলোমিটার ওই যুবককে ধাওয়া করে ভামোরা থানার সামনে তাঁকে ধরে ফেলেন কনে। সেখানে তিনি হবু বরকে বাস থেকে নামিয়ে আনেন। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে কথোপকথনের পর ভামোরার একটি মন্দিরে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়।

whatsapp image 2023 05 24 at 2.45.26 pm

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত বছর বিহার থেকেও এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। সেখানে নওয়াদায়, এক মহিলা রাস্তায় দৌড়ে তাঁর হবু স্বামীকে ধরে ফেলেন। সেক্ষেত্রেও একটি মন্দিরে দু’জনের বিয়ে হয়েছিল। এমনকি, গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। জানা গিয়েছিল যে, বর যৌতুকে ৫০ হাজার টাকা ও একটি সাইকেল নিয়ে তারপর বিয়ে করতে রাজি হননি। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিয়ে হয় তাঁদের।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর