এবার মাটির তলায় ছুটবে বুলেট ট্রেন! তৈরি হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন, কবে শুরু হবে সফর?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমানে ঝড়ের গতিতে চলছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের কাজ। এই প্রকল্পের অধীনে, মুম্বাই বুলেট ট্রেন স্টেশনের প্রথম কংক্রিট বেস স্ল্যাব মাটি থেকে প্রায় ৩২ মিটার গভীরতায় ঢালাই করা হয়। যা একটি ১০ তলা বিল্ডিংয়ের সমতুল্য। নিচ থেকে ওপরের দিকে স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। মাটির স্তর থেকে খনন কাজ শুরু হয়েছে এবং পিলার থেকে কংক্রিটের কাজও শুরু হয়েছে। এই স্ল্যাবটি ৩.৫ মিটার গভীর, ৩০ মিটার দীর্ঘ এবং ২০ মিটার চওড়া।

কবে শুরু হবে বুলেট ট্রেনের (Bullet Train) সফর:

এটি স্টেশনের জন্য তৈরি হওয়া ৬৯ টি স্ল্যাবের মধ্যে প্রথম। সামগ্রিকভাবে এগুলি বুলেট ট্রেন (Bullet Train) স্টেশনের জন্য গভীরতম নির্মাণ স্তর তৈরি করবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বুলেট ট্রেনের সফর ২০২৬ সালে শুরু হবে। ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (NHSRCL) বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার হবে বলে দাবি করেছে।

মুম্বাই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন (Bullet Train) মহারাষ্ট্র এবং দাদরা ও নগর হাভেলি হয়ে আহমেদাবাদের দিকে যাবে। ২০২৬ সাল নাগাদ, দক্ষিণ গুজরাটের সুরাট এবং বিলিমোরার মধ্যে বুলেট ট্রেনের প্রথম ধাপে চলাচল শুরু হবে। পুরো কাজ হয়ে যাওয়ার পর মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদের দূরত্ব মাত্র ১২৭ মিনিটে কভার করা হবে।

আরও পড়ুন: আচমকাই হু হু করে সম্পদ কমল মাস্কের! ধনকুবেরদের তালিকায় ঝড় তুললেন আম্বানি, টক্কর দিলেন আদানিও

মুম্বাইয়ের বুলেট ট্রেন স্টেশন: জানিয়ে রাখি যে, মুম্বাইয়ের বুলেট ট্রেন (Bullet Train) স্টেশনটি বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত। এটি মুম্বাই-আহমেদাবাদ এইচএসআর করিডোরের একমাত্র ভূগর্ভস্থ স্টেশন। প্ল্যাটফর্মটি মাটি থেকে প্রায় ২৪ মিটার গভীরে তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে প্ল্যাটফর্ম, কনকোর্স ও সার্ভিস ফ্লোরসহ ৩ টি ফ্লোর থাকবে। এই কাজের জন্য মাটি থেকে ৩২ মিটার গভীরে খনন করা হচ্ছে। স্টেশনটিতে ৬ টি প্ল্যাটফর্ম থাকবে এবং প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য হবে আনুমানিক ৪১৫ মিটার (যা ১৬ কোচের বুলেট ট্রেনের জন্য যথেষ্ট)। স্টেশনটি মেট্রো এবং সড়কপথ দ্বারা সংযুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: ফের গোটা দেশকে চমকে দিল IIT Kharagpur! ২ দিনে চাকরি হল ৮০০ জনের, মিলল ২.১৪ কোটির প্যাকেজ

মুম্বাইয়ের বুলেট ট্রেন (Bullet Train) স্টেশনে দু’টি প্রবেশ-প্রস্থান গেট তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি মেট্রো লাইন-2B-র কাছাকাছি থাকা মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের সুবিধার জন্য এবং অন্যটি MTNL বিল্ডিংয়ের দিকে। স্টেশনটির পরিকল্পনা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে যাত্রী চলাচল ও সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক আলোর জন্য একটি স্কাইলাইটেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর