বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঘটনাটা শুরু হয়েছে দুর্গা অষ্টমী থেকে। বাংলাদেশের (bangladesh) একাধিক দুর্গা মন্ডপে হামলার পর আবার ইসকনের মন্দিরে হামলা, সদস্যের মৃত্যু- সবকিছু নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। পড়শি দেশের এই ঘটনায় সংশোধীত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) সংশোধনের দাবি তুললেন কংগ্রেস (congress) নেতা মিলিন্দ দেওরা (Milind Deora)। তাঁর দাবী, বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য এবার CAA আইনের সংশোধনের প্রয়োজন।
প্রথম থেকেই কেন্দ্র সরকারের CAA আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল সকল বিরোধী দলগুলো। যার মধ্যে ছিল কংগ্রেসও। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষার্থে সেই CAA আইনের সংশোধনের দাবি জানালেন কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা। তাঁর এমন মন্তব্য বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্ব বলে মনে করা হচ্ছে।
CAA হল- ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যেসকল সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছে, তাঁদের নির্দিষ্ট তথ্য ও আবেদনের ভিত্তিতে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।
Bangladesh’s escalating communal violence is extremely worrying.
CAA must be amended to protect & rehabilitate Bangladeshi Hindus fleeing religious persecution.
India must also reject & thwart any communal attempt to equate Indian Muslims with Bangladeshi Islamists.
— Milind Deora | मिलिंद देवरा ☮️ (@milinddeora) October 18, 2021
বাংলাদেশের এই হিংসাত্মক ঘটনার পর মঙ্গলবার ট্যুইটারে কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওয়া লেখেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রতি সময়ে ঘটে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেই কারণে বাংলাদেশের হিন্দুদের ধর্মীয় নীপিড়নের হাত থেকে রক্ষা করা এবং তাঁদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে CAA আইন সংশোধন করা আবশ্যক। ভারতীয় মুসলমানদের সঙ্গে বাংলাদেশী ইসলামপন্থীরা একীভূত হয়ে যে কোন সাম্প্রদায়িক উস্কানির প্রচেষ্টা করতে পারে, যা ভারতকেও প্রত্যাখ্যান ও ব্যর্থ করতে হবে’।