বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপি নেতা (Bharatiya Janata Party leader) মোহিত কাম্বোজের (Mohit Kamboj) নামে মামলা করল সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার থেকে গত ২০১৩ সালে তিনি নাকি ৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। আর তাঁর পরই নাকি বেপাত্তা এই নেতা। এখন তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৬৭ কোটি টাকা। কিন্তু এদিকে এবার বিজেপি নেতা দাবী করছেন, তিনি নাকি ২০১৮ সালেই বাকি ৩০ কোটি টাকা দিয়ে সমস্ত ঋণের পরিমাণ শোধ করেও দিয়েছেন।
‘ঋণখেলাপি’ ঘোষণা হয় সংস্থার নামে
‘অভিযান ওভারসিজ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন মোহিত কাম্বোজ। এই কোম্পানির গ্যারান্টার হিসাবে ২০১৩ সালে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে ৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণ নেওয়ার পর আর তাঁর কোন পাত্তাই পায় না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বাড়তে থাকা ঋণ এবং সুদের বোঝার জেরে ২০১৫ সালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ‘ঋণখেলাপি’ ঘোষণা করে সংস্থটির নামে। এরপরই সংস্থার ডিরেক্টররা রাতারাতি পদ ত্যাগও করে ফেলেন।
রাতারাতি পরিবর্তন হয় পদবীও
ব্যাংকের থেকে বিরাট অংকের টাকা ঋণ নেওয়ার পরই নাকি বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ পদবী পরিবর্তন করে ভারতীয়ও হয়ে যান বলে অভিযোগ উঠেছে। মোহিতের সঙ্গে আরও তিনজন ডিরেক্টর ছিলেন ওই সংস্থাটিতে। মোহিত সহ ওই তিনজন, জীতেন্দ্র কপূর, অভিষেক কপূর ও নরেশ কপূর-এদের নামে সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের কথামত এই চারজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা করছে সিবিআই।
অভিযোগ অস্বীকার করছে বিজেপি নেতা
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে তাঁদের সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ করেনি মোহিত কাম্বোজ এবং তাঁর কোম্পানি। তারপরই ‘ঋণখেলাপি’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই কোম্পানির সদস্যরা জনগণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ব্যাংককে প্রভূত লোকসানের মুখে ঠেলে দিয়েছে’। কিন্তু অপরদিকে মোহিত কাম্বোজ জানিয়েছেন, তিনি নাকি ২০১৮ সালে বকেয়ার বাকি ৩০ কোটি টাকা ব্যাংককে দিয়ে সবকিছু মিটিয়েও নিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংক এতবছর পর কেন তার নামে অভিযোগ আনছে, তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে তিনি এই কাজে সিবিআইকে পূর্ণ সমর্থন করবেন বলেও জানিয়েছেন।