বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় কিটের অভাব দেখা দিয়েছে বলে আবারও মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। অল্প সংখ্যায় কিট রয়েছে রাজ্যের হাসপাতালে। কিন্তু কেন্দ্র কম পাঠাচ্ছে এবং যা পাঠাচ্ছে তা সবই ত্রুটিপূর্ণ। বুধবার নবান্ন থেকে এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বললেন, ‘সব কিট একবারে শেষ করা যাচ্ছে না। হাত খালি রাখা সম্ভব নয়। তাই মাঝে মাঝে করোনা পরীক্ষায় থেমে যেতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্টিং কিট হাতে না পেলে, চিকিৎসা কর্মীরা অসুবিধায় পড়ছেন। কেন্দ্র সরকার র্যাপিড পরীক্ষার কিট যা পাঠিয়েছিল, তা এখন সবই ফেরত নিয়ে নিচ্ছে। তাহলে এখন দোষটা কার? চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় পিপিইও পর্যাপ্ত পরিমাণে পাঠাচ্ছে না। রাজ্য দিয়েছে ৪ লক্ষ ১৯ হাজার, আর কেন্দ্র দিয়েছে মাত্র ৭ হাজার’।
রাজ্যে হু হু করে বাড়তে থাকা করোনা আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য এখন প্রয়োজনীয় টেস্টিং কিট অমিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক সকলেই। টেস্টিং কিটের অভাবে থমকে যাচ্ছে পরীক্ষা। সেই বিষয়ে বুধবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের প্রতিবাদের সুর তোলেন। তিনি জানান, কেন্দ্র যা কিট পাঠাচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয় এবং ত্রুটিপূর্ণ। রাজ্যের প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তিন ধরণের টেস্টিং কিট রয়েছে। যার মধ্যে প্রথমটা হল, আরটি পিসিআর কিট। এই কিটে সমস্যা দেখা দেওয়ায় কেন্দ্র থেকে এই কিটের ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলেছে। তবে এই কিটে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আবার বাহকের প্রয়োজন হয়।
দ্বিতীয়টা হল, অ্যান্টিবডি কিট, এই কিটের ব্যবহারও এখন কেন্দ্র থেকে বন্ধ রাখতে বলেছে। এবং তৃতীয়তটি হল অ্যান্টিজেন কিট। এই কিট বর্তমানে রাজ্যের কোন হাসপাতালেই মজুত নেই। যার ফলে এখন সমস্যা দেখা দিয়েছে চিকিৎসা ক্ষেত্রে। র্যাপিড পরীক্ষার ১০ হাজার কিটই ছিল ত্রুটিপূর্ণ। যার থেকে ২২০টি পরীক্ষা করা হলেও, তা এখন গ্রহণ যোগ্য নয়। তবে আইসিএমআর-এর নির্দেশ অনুযায়ী এখন এই পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
আবার, ভিটিএম প্রত্যেকটি পরীক্ষার জন্য দু’টো করে প্রয়োজন হয়। রাজ্য এই ভিটিএম ৪৫ হাজার চেয়েছিল কেন্দ্রের থেকে। কিন্তু মাত্র আড়াই হাজার পাঠিয়েছে কেন্দ্রটা, এমনটা অভিযোগ করেছে রাজ্য। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘২৫০০ ভিটিএম দিয়েছে কেন্দ্র, যা দুটি করে প্রয়োজন। কিন্তু এখন তা একটি করে ইয়ব্যবহার করা হচ্ছে। মাত্র ৭০৩৭ পরীক্ষা করা হয়েছে। কাজ করা হচ্ছে, অথচ বদনাম হচ্ছে বাংলার’।