বাংলাহান্ট ডেস্ক: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) ৬৮০ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা অনুদান দিল কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি অর্থবর্ষে ‘সংযুক্ত অর্থাৎ মৌলিক অনুদান’ খাতে প্রাপ্য অর্থের প্রথম কিস্তি হিসাবেই এই অর্থ রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই তহবিল রাজ্যের ৩ হাজার ২২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৩৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ২১টি জেলা পরিষদের মাধ্যমে গ্রামীণ উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হবে।
কেন্দ্রের কাছ থেকে ৬৮০ টাকা অনুদান পেল বাংলা (West Bengal)
কেন্দ্রের তরফে এক সরকারি বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, গত ৬ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) কাছে এই অর্থ হস্তান্তর করা হয়েছে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আওতায় গত এবং চলতি অর্থবর্ষ মিলিয়ে এই নিয়ে মোট ৪ হাজার ১৮১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা পেয়েছে রাজ্য। এর মধ্যে সদ্য পাওয়া ৬৮০ কোটি টাকাসহ এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮২ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা রাজ্য পেয়েছে ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতে। বাকি ২ হাজার ৯৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে ‘আবদ্ধ অনুদান’ (বাঁধা অনুদান) হিসেবে।
আরও পড়ুন:বিহারের পর বঙ্গেও SIR! ১১ টির মধ্যে কোন কোন নথি হাতে রাখতে হবে? হয়ে যান সতর্ক
‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতের অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে বাংলার (West Bengal) পঞ্চায়েতগুলির স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। অর্থাৎ স্থানীয় প্রয়োজন বা উন্নয়নমূলক চাহিদা অনুযায়ী এই অর্থ ব্যয় করা যাবে। রাস্তা ও ফুটপাথ নির্মাণ বা সংস্কার, এলইডি বা সৌরবাতি লাগানো, গ্রামে খেলার মাঠ তৈরি, পরিবেশ সংরক্ষণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উদ্যোগ, ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নতি, কিংবা শ্মশান রক্ষণাবেক্ষণ—এই ধরনের কাজে পঞ্চায়েত সংস্থাগুলি এই অনুদান ব্যবহার করতে পারবে।
অন্যদিকে, ‘আবদ্ধ অনুদান’ খাতে এই স্বাধীনতা থাকে না। কেন্দ্র নির্দিষ্ট করে দেয় কোন খাতে এই অর্থ ব্যবহার করতে হবে। গত দুই অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গকে (West Bengal) এই খাত থেকে যে ২ হাজার ৯৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে, তা মূলত শৌচাগার নির্মাণ এবং পানীয় জল সরবরাহ সংক্রান্ত প্রকল্পে ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত।
আরও পড়ুন:তরতরিয়ে এগোচ্ছে দেশ! গ্লোবাল ইকোনমির অন্যতম চালিকাশক্তি ভারত, কী জানালেন IMF প্রধান?
কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, গত অর্থবর্ষে ‘সংযুক্ত অনুদান’ খাতের অর্থ পাঠানোর অল্প সময়ের মধ্যেই ‘আবদ্ধ অনুদান’-এর কিস্তিও ছাড় করা হয়েছিল। তাই চলতি অর্থবর্ষেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পেয়ে যেতে পারে ‘আবদ্ধ অনুদান’-এর প্রথম কিস্তির অর্থ। কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, এই অনুদান রাজ্যের গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং স্থানীয় প্রশাসনিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
অর্থ কমিশনের এই অনুদানের ফলে বাংলার (West Bengal) গ্রামাঞ্চলে ছোট ও মাঝারি স্তরের উন্নয়নমূলক কাজগুলি গতি পাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। একই সঙ্গে স্থানীয় সংস্থাগুলির আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে সাধারণ মানুষের মৌলিক পরিষেবাগুলির মানও উন্নত হবে বলেই প্রশাসনের ধারণা।