বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রবিবার রয়েছে কলকাতা (kolkata) পুরভোট। কিন্তু তার আগেই বোমের আওয়াজে কেঁপে উঠল গোটা শহর। আতঙ্ক ছড়াল বালিগঞ্জ প্লেস এলাকায়। জমজমাট পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে গেল হঠাৎ করে। পুরভোটের আগে এমন ঘটনায় রীতিমতো ভীত এলাকাবাসী।
আচমকাই শুক্রবার রাত ১১ টা বেজে ২৫ মিনিটে ১৯এ, বালিগঞ্জ প্লেস এলাকার বুলি চ্যাটার্জির বাড়ির সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে এলাকাবাসী দেখে ধোঁয়া উড়ছে। সেই সময় বাড়ির ছাদে হাঁটছিলেন বুলি চ্যাটার্জি। সেই সময় তিনি শুনতে পান তাঁর নাম ধরে কেউ ডাকছে। এগিয়ে যেতেই তিনি দেখেন বাইকে তিনজন ব্যক্তি গালিগালাজ করে তাঁর বাড়ির সামনে দুটি বোমা মেরে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে বুলি চ্যাটার্জি বলেন, ‘তৃণমূলের একজন কর্মী হয়েও, ভোটের লিস্ট বেরোনোর পর অভিমান হওয়ায় কাজ করিনি। তনিমাদিকে সমর্থন করার কারণেই এই বোমাবাজি হয়েছে আমার বাড়ির সামনে’।
বালিগঞ্জ প্লেসের এক বাড়ির দারোয়ান শচীন্দ্রর সিং জানান, ‘রাতে তখন ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যেতেই বাইরে এসে দেখি চেঁচামেচি হচ্ছে এবং ধোঁয়া উড়ছে। আর কিছুটা দূরেই একটা বোমা পড়ে রয়েছে’।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ওই এলাকায় প্রথমে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে টিকিট দেওয়া হলেও, পরে তা নিয়ে দেওয়া হয় সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কে। আর তারপরই দলের প্রতি ক্ষোভ বর্ষণ করে নির্দল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। আর তাঁকে সমর্থন করে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনের কাজে অংশ নেননি বুলি চ্যাটার্জি। আর সেই কারণেই এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে তনিমা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘এই ঘটনাটা শোনার পরই সবটা জানাই পুলিশকে। গত ৫০ বছর ধরে এই ওয়ার্ডে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কই তাঁর জামানায় তো এমনটা হয়নি, তিনি চলে যাওয়ার পরই এমন ঘটনা ঘটল’।