বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কৃষি বিল নিয়ে বর্তমানে উভয় সংকটে মহারাষ্ট্র সরকার উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র সরকারের পেশ করা কৃষি বিলের প্রতিবাদে আন্দলনের ডাক দিয়েছিল শিবসেনা জোট কংগ্রেস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল।
এদিকে আবার গত আগস্ট মাসেই মহারাষ্ট্র সরকার উদ্ধব ঠাকরে কৃষি সংক্রান্ত বিল পাশ করিয়েছিলেন। তাঁর মন্ত্রীসভা এই বিল বাস্তবায়িত করার পূর্বেই, কেন্দ্র সরকার বাদল অধিবেশনে নতুন কৃষি বিল পেশ করে। বিরোধীদের শত বিরোধিতা সত্ত্বেও সেই বিল পাশ হয়ে যায়। রাজ্যসভায় কেন্দ্রের পাশ করানো বিলের প্রতিবাদ দেখানোর কারণে সংসদ থেকে ৮ জন সংসদককে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল।
তাদের দাবী, কেন্দ্র সরকারের এই বিল কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেবে। তারা নিজেদের মত করে স্বাধীনতাও হারাবে। কৃষকদের দাস করেও রাখা হবে। এই আইন সম্পূর্ণ রূপে কৃষক বিরোধী।
বিরোধিরা কেন্দ্র সরকারের এই কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এমনকি এই বিল প্রত্যাহার করে নতুন বিল প্রকাশের দাবী জানায়। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ও এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার সরাসরি ঘোষণা করে দেয়, তাদের সরকার এই বিল কিছুতেই মানবে না।
কৃষি বিলের প্রতিবাদে সোমবার কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী রাজ্য সরকারগুলিকে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫৪ (২) ধারা অনুযায়ী, কেন্দ্রের কৃষি বিরোধী আইনগুলি উপেক্ষা করে নিজেদের মত করে আইন প্রয়োগের সমস্ত সম্ভাবনা এবং কৃষকদের প্রতি হয়া গুরুতর অন্যায় অবিচার রোধ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যার ফলে মহারাষ্ট্র সরকারের প্রস্তাবিল কৃষি বিল প্রত্যাহারের জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একরকম ভাবে মহারাষ্ট্র সরকারকে মন্ত্রীসভার বৈঠক বয়কটের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপরই বেগতিক দেখে নিজের পাশ করানো কৃষি বল প্রত্যাহার করে নেয় মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকার।