বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুলিশের চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন ছিল চোখে, মেয়ের স্বপ্ন বাবারও স্বপ্ন ছিল বটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ কী হয়ে গেল! এক মাত্র মেয়ের স্বপ্ন চোখের সামনেই শেষ! পুলিশের উর্দি গায়ে মেয়েকে দেখবেন বলে স্বপ্ন ছিল বৃদ্ধ বাবার। বাবার ইচ্ছের মূল্য মেয়ে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু স্বপ্নপূরণের আনন্দটুকু থেকে বিরতই থাকতে হল বাবাকে।
আর মেয়েরও অদ্ভূত নিয়তি! নিজের চাকরি পাওয়ার খবর নিজেই জেনে যেতে পারলেন না, তার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অংশিকা। বৃদ্ধ বাবা মেয়ের সুখবরের অপেক্ষায় বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পুলিশ কর্তাদের চোখেও জল এনে দিল।
উত্তর প্রদেশের বাগপত জেলার ফজলপুরের বাসিন্দা ছিলেন অংশিকা সিং। পুলিশের চাকরির স্বপ্ন ছিল তাঁর চোখে। সেইমতো নিজেকে তৈরিও করেছিলেন অংশিকা। পুলিশের চাকরির দন্য শারীরীক পরীক্ষা দিতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। ১৪ মিনিটে ২.৪ কিমি দৌড় শেষ করেন অংশিকা। দৌড় শেষেই ট্র্যাকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন অংশিকা। তারপর অনেক চেষ্টার পরেও জ্ঞান ফেরানো সম্ভব হয়নি তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কর্মী অংশিকাকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিবারের সবাইকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে অংশিকার সাফল্যের জন্য মাঠের বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন অংশিকার বৃদ্ধ পিতা। মেয়ে এসে কখন বলবে, পুলিশের চাকরি টা আমার হয়ে গিয়েছে বাবা! কিন্তু সে সুখবরটি তাঁর মুখে আর শোনা হল না বাবার।
অংশিকার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছিল। তাতে জানা গিয়েছে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল অংশিকার। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শরীরে অত্যাধিক ধকল নেওয়ার কারণে অনেক সময় এ ঘটনা ঘটে থাকে। অংশিকার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে।