গণপিটুনির দরুন মৃত্যু হল এক যুবকের, অভিযোগের তীর তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চেয়েছিল বাঁচতে কিন্তু পারল না। ১৪ দিনের লড়াইয়ে ব্যর্থ হল সৌমেন দাস (Soumen Das)। ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের জেরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূল(TMC) কর্মী হিসাবে পরিচিত সৌমেন দাস। গত ৪ মে সন্ধেতে ঘটনাটি ঘটেছিল বেলঘড়িয়া থানার কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ ছিল, সৌমেন ও তাঁর বন্ধুদের ত্রাণ বিলিতে বাঁধা দিয়েছিল স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলর রুপালি সরকার (Rupali sarkar) ও তার দলবল। অভিযোগ, কাউন্সিলরের অনুগামীরা লাঠি, বাঁশ, রড, ইট দিয়ে সৌমেনকে এলোপাথাড়ি মেরেছিল এবং কাউন্সিলর রূপালি সরকারও সৌমেনকে চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিল।

rupali j

সংকটজনক অবস্থায় সৌমেনকে কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ওই হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। সৌমেনের মৃত্যুর খবর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করলেন। বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও কমিটির কনভেনার রাখি সরকার বলেন, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর রূপালি সরকার এখনও ধরা পড়েনি। শুনেছি ওনি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

r

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ওখানে ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গিয়েছে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন সৌমেন। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর রুপালি সরকারকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। যুবক হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সকলেই চরম শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি উঠেছে। যদিও ঘটনার দিন কাউন্সিলর রুপালি সরকার দাবি করেছিলেন, তিনি মারধোর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার অভয় তেওয়ারী-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করা নয়জনের মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ” আইন আইনের পথেই চলুক। যারা প্রত্যক্ষভাবে ওই যুবকে মেরেছে বা যারা এই ঘটনায় যুক্ত আমি চাই তাদের শাস্তি হোক। ”

মৃতের মায়ের দাবি, ‘ আমার থেকে ১০০ টাকা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে পাড়ায় কাকিমাদের ত্রান বিলি করতে গেচ্ছিল। ওখানকার লোকেরা আমাকে ফোন করে বলে তোমার ছেলেকে রুপালি সরকার ও তার দল মেরে মাটিতে শুয়ে দিয়েছে।  আমি চাই যারা মেরেছে তাদের ফাঁসি হোক।

সম্পর্কিত খবর