বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনায় (corona) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মুসলিম বৃদ্ধের (old man)। কিন্তু দেহ কবর দেওয়ার অনুমতি দেয়নি কবরস্থান কর্তৃপক্ষ। অবশেষে শ্মশানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ওই বৃদ্ধের। শ্মশান কর্তৃপক্ষের অনুমতিতেই সৎকার হয়েছে ওই মুসলিম বৃদ্ধের।
মুম্বই শহরতলির মালাডের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৬৫ (65)-র এই বৃদ্ধ। বুধবার যোগেশ্বরীর (Yogeshwari) এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর মালাডের মালওয়ানি অঞ্চলের একটি কবরস্থানে নিয়ে আসা হয় বৃদ্ধের দেহ। কিন্তু সেখানে কবর দেওয়ার অনুমতি পাওয়া যায়নি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ কবরস্থানের তরফে জানানো হয় ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, তাই এখানে কবর দেওয়া যাবে না।
পরিবারের অভিযোগ, পুরসভার অনুমতি সত্ত্বেও অনুমতি দেয়নি ওই কবরস্থান। স্থানীয় নেতারাও কোনও সমাধান করতে পারেননি। এরপর স্থানীয়রাই হিন্দু সৎকার সমিতির দ্বারস্থ হলে, তারা শ্মশানে দেহ সৎকারের অনুমতি দেয়।এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ক আসলাম শেখ বলেন, সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে কোনও মুলসিম নাগরিকের মৃত্যু হলে তাঁকে কাছের কোনও কবরস্থানে কবর দিতে হবে। কিন্তু এই পরিবারের ক্ষেত্রে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। কাউকে না জানিয়ে, দেহ নিয়ে সোজা মালাডে পৌঁছে যান বৃদ্ধের পরিবার। কিছুই জানত না মালওয়ানির ওই কবরস্থান কর্তৃপক্ষ। এদিকে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল যোগেশ্বরীর হাসপাতালে। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের কাছে কোনও কবরস্থানে কবর দেওয়ার কথা ছিল। কেম তেমনটা হয়নি তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
যদিও মৃতের ছেলে অভিযোগ করে বলেছেন, বাবার দেহ নিয়ে প্রায় ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষা করেছিলেন। সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। তিনি আরও বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর আমরা চেয়েছিলাম মালাড-মালওয়ানি কবরস্থানে সৎকার করতে। কিন্তু কবরস্থান কমিটি সৎকারে অনুমতি দেয়নি। বরং বলা হয়েছিল, করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তাই কবর দেওয়া যাবে না।”