বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৈরি হয়ে গেছে পোর্টাল, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act) লাগু হওয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। একবার ধারা তৈরি হয়ে গেলেই প্রতিবেশের দেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে পালিয়ে আসা রিফিউজিরা এবার ভারতের (India) নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। শোনা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে আগেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরুও হয়ে যাবে। এবং আসন্ন বাজেট অধিবেশনে এই ধারায় সংসদীয় সিলমোহর দেওয়া হবে।
সিএএ আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মত মুসলিম প্রধান দেশের সংখ্যালঘু মানুষরা যদি ভারতে আশ্রয় চান তাহলে আমাদের সরকার তা দেবে। গত কাল ওই আইনের ধারা তৈরির জন্য ফের একবার ছ’মাসের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সিলমোহর দিয়েছে সংসদীয় সচিবালয়। যদিও এবারও এই ধারা তৈরি হবে কী না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিরোধীর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই আইন বাস্তবায়িত হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলে দাবি বিজেপির। বিশেষ করে মতুয়া সমাজের নাগরিকত্ব পাওয়ার দীর্ঘ দিনের দাবি এবার সার্থক হবে। যদিও তৃণমূলের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ গিমিক তুলে ফের একবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। ভোট বৈতরণী পার করার জন্য এটা বিজেপির একটা স্ট্র্যাটেজি বলে দাবি করছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন : ‘সবাইকে চাকরি করতে হবে তার কী মানে আছে?’, আন্দোলনকারীদের আক্রমণ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহর
জানিয়ে রাখি, নাগরিকত্ব আইনের সমস্তকিছু অনলাইনেই হবে বলে খবর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, এই অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা। তারা কোন সালে ভারতে এসেছিলেন, কতদিন ভারতে বসবাস করছেন এই সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের। এমনকি আবেদনকারীদের কোনও কাগজপত্র অবধি দিতে হবেনা বলে খবর।
আবেদনের পর ঐ ব্যক্তির বিষয়ে বিশদ তথ্য পর্যবেক্ষণ করে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কী না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও এই অনলাইন পোর্টাল এখনও চালু হয়নি, তবে পোর্টাল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাজেট অধিবেশনেই এই আইনের ধারা পেশ হবে সংসদে। এবং সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললেই শুরু হয়ে যাবে পোর্টালের কাজ।