বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ হওয়ার পরে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন দিল্লির (Delhi) এক মহিলা ডাক্তার। সুস্থ হয়ে ওঠার পরে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু সেখানে জোর করে তাঁকে বন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। দিল্লির এক সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন ওই ডাক্তার। ফ্ল্যাটে একাই থাকেন ওই মহিলা।
জানা গিয়েছে, বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় ওই ডাক্তারকে। তারপর তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো বসন্তকুঞ্জে নিজের ফ্ল্যাটে আসেন তিনি। কিন্তু তিনি আসার পরেই তাঁকে অন্য কোথাও গিয়ে থাকার হুমকি দেন প্রতিবেশী। কিন্তু তিনি সেকথা না শুনলে তাঁকে অশ্লীল কথাবার্তা বলে তাঁর ফ্ল্যাটেই তাঁকে বন্ধ করে রাখা হয়।
এই ঘটনার পরে দিল্লি পুলিশে ফোন করে অভিযোগ করেন ওই ডাক্তার। নিজের অভিযোগ তিনি লেখেন, “বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ মনীশ নামের আমার প্রতিবেশী এসে আমাকে গালিগালাজ দেওয়া শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন, আমি করোনা পজিটিভ। তাই এখানে আমি থাকতে পারব না। আমি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করি, দু’বার আমার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই আইসোলেশন সেন্টার থেকে আমাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার কথা উনি শুনতে চাননি।”
মহিলা ডাক্তার আরও অভিযোগ করেছেন, “আমাকে বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে উনি বলতে থাকেন, আমি কী ভাবে এখান থেকে বেরায় সেটা উনি দেখে নেবেন। কাউকে ফোন করে আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। নইলে আমাকে বেরতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন মনীশ।” ডাক্তারের অভিযোগ শুনে মনীশ নামের ওই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। তাঁর খোঁজ করছে পুলিশ।
ভারতে করোনা সংক্রমণের পর থেকে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করা ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝেমধ্যেই হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে। কোথাও মারধরও করা হয়েছে তাঁদের। কেন্দ্রের তরফে আইন জারি করে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা করলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা কমেনি।