বাংলা হান্ট ডেস্ক : শরতের মেঘ জানান দিচ্ছে মা এসে গেছে। ক্যালেন্ডার বলছে হাতে আর ৩ দিনেরও কম সময়। ইতিমধ্যেই শহরের ছোট বড় একাধিক সাবেকি বাড়ি থেকে শুরু করে পুজো কমিটি তাদের সমস্ত হাতের কাজ সেরে ফেলেছে। থিম পুজোর প্রস্ততিও প্রায় সারা। মণ্ডপসজ্জা থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা, মনে মনে ছকে ফেলেছেন থিম শিল্পীরা। আকাশে বাতাসে ভাসছে পুজোর গন্ধ। আর তার আগেই কোয়েল মল্লিকের (Koel Mallick) বাড়িতে ঘটে গেল চরম বিপত্তি।
তিলোত্তমা নগরীতে যে কয়টা সাবেকি পুজো হয় তারমধ্যে অন্যতম হল মল্লিকবাড়ির দুর্গাপুজো। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বাংলার নজর থাকে এই পুজোর উপর। অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick) নিজে গোটা পুজোর তদারকি করে থাকেন। পুজোর এই দিনগুলোতে কোয়েলও থাকেন একদম ঘরের মেয়ে হয়েই। নিজের তারকাসুলভ আচরণ ছেড়ে কোয়েল হয়ে ওঠেন সাদামাটা একটা মানুষ।
বাকিদের সাথে কোমর বেঁধে পুজোর কাজ করতে নেমে পড়েন তিনি। অনেকেই হয়ত জানেন যে, মল্লিক বাড়ির এই পুজো বহু পুরনো। আজ থেকে প্রায় ৯৯ বছর আগে ১৯২৪ সালে এই পুজো শুরু করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ বসু মল্লিক। তিনি তার ছেলে দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু মল্লিকের জন্মের পর মা এর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন বলে শোনা যায়। তারপর থেকেই ধুমধাম করে শুরু হয় মায়ের আরাধনা।
আরও পড়ুন : সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে! OTT প্লাটফর্মগুলির কাছে গেল সতর্কবার্তা, বন্ধ হতে পারে সমস্ত ওয়েব সিরিজ
সেই থেকে আজও চলে আসছে এই পুজো। প্রতিবছর সমস্ত নিয়ম মেনে তৈরি করা হয় প্রতিমা। তারপর মল্লিক বাড়ির দালানে শুরু হয় পুজোর আয়োজন। এই পুজোয় ভাগ নেয় গোটা পাড়ার মানুষ। চারদিন ধরে হই হই করে চলে পুজোর আয়োজন। তবে এবার ঘটে গেল চরম বিপত্তি। সূত্রের খবর, এবছর মূর্তি তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মাঝরাতে আচমকাই ভেঙে পড়ে মূর্তির একাংশ। দমকলকে খবর দেওয়া হলে তারা গোটা মূর্তিটিকেই ধুয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : অপেক্ষার অবসান! ফাঁস হল ‘তুমি আশে পাশে থাকলে’র স্লট, রাতারাতি বন্ধ হচ্ছে স্টার জলসার এই মেগা
জানা গেছে, এবছর মল্লিক বাড়িতে যে মূর্তি গড়া হয়েছিল তার উচ্চতা ছিল প্রায় ২০ ফুট। মূর্তি তৈরির সময়ই কোনও ত্রুটি থেকে যাওয়ার কারণে মা দুর্গার ডান হাত সহ মূর্তির একাংশ ভেঙে পড়ে। চলতি বছর মল্লিক বাড়ির পুজোর দায়িত্বে ছিল কলকাতা পুর্নিগমের কর্মচারীরা। ঘটনার আকস্মিকতায় রীতিমত কেঁদে ফেলেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এত বছর আমাদের বাড়িতে পুজো হচ্ছে কিন্তু আমার জীবনে এমন ঘটনা এই প্রথম। পরিস্থিতি দেখে সকলের মন ভেঙে গেছে। যারা মূর্তি নির্মাণ করেছিল তাদের আরও একটু সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তবে আবার নতুন করে কাজ শুরু হয়েছে।’