বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অর্থনৈতিক সংকটে এবার ধাক্কা খাচ্ছে সৌদি আরব (Saudi Arabia)। দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে এখন অন্য দেশের কাছে হাত পাততে হচ্ছে সৌদি প্রিন্সকে। এমনকি তাঁদের শেয়ার বিক্রিও করতে হচ্ছে। অর্থের অভাবে তাঁদের নির্মান কার্যও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাঁদের পরবর্তী পরিস্থিতি আরও সংকটের মুখে এগোচ্ছে।
অহংকারের ফলে সৌদি আরবের এই দুর্দিন ঘনিয়ে এসেছে
শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রভাবেই নয়, আরও অনেক বিষয় যেমন তাঁদের অহংকারের ফলে এমনটা ঘটছে বলেও মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার (Russia) সাথে তেলের বিষয়ে হওয়া সংঘাতের ফলে আজকে সৌদি আরবের এই দুর্দিন ঘনিয়ে এসেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
রাশিয়ার সাথে তেলের সংঘর্ষ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পূর্বে সৌদি আরব তেলের উৎপাদন থেকে রাশিয়াকে সরে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। অর্থ সংকটে মধ্যে থাকা রাশিয়া তখন সৌদি আরবের প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। সৌদি প্রিন্স সেসময় জানিয়েছিল, তারা রাশিয়ার থেকেও আরও বেশি পরিমাণে তেলের উৎপাদন করে কম দামে তেল বিক্রি করে রাশিয়াকে অনেক দুর্বল করে দেবে। প্রায় দেড় মাস পর তাঁদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেলেও, এই তেলের সংঘর্ষের ফলে দুই দেশই প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
লাভবান হতে পারে ভারত
সৌদি আরব এবং রাশিয়ার সংঘর্ষের মধ্যে ভারত এক বিরাট পরিমাণ তেলের আমদানি করে নেয়। করোনা ভাইরাসের কারণে ভারতে বর্তমানে তেলের চাহিদাও অনেক কমে গেছে। যার জেরে প্রতি বেরেল ১০ ডলারের থেকেও অনেক কমে গেছে। বর্তমান সময়ে ভারতে তেলের ভান্ডার মজুত থাকলেও, সৌদি আরবের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি তেলের ভান্ডারের অভাবে দেউলিয়ার দিকে এগোচ্ছে।
তেলের ভাণ্ডারে টান পড়ায় অর্থ সংকটে সৌদি আরব
তেলের খনিতে ভাটা পড়তেই সৌদি আরব এবার ৩০-৩৫ আরব ডলারের কিছু শেয়ারও বিক্রি করতে চাইছে। যাতে করে তাঁদের কিছুতা হলেও অর্থ সংকট ঘুচবে। UAE প্রায় ১০ বছর আগে পরিকল্পনা করেছিল দুবাইকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম পর্যটন ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে তুলবে,তাতে তাঁদের প্রচুর অর্থ মুনাফা হবে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পড়ে তাঁদের তেলের ভাণ্ডারেরও এখন টান পড়েছে এবং পর্যটন শিল্পও মুখ থুবড়ে পড়েছে। ধীরে ধীরে তারা আর্থিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।