এবার সন্ধান মিলল ভুয়ো টোল প্লাজার! দেড় বছর ধরে চলছিল তোলাবাজি, জানাজানি হতেই যা ঘটল….

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই এমন কিছু খবর সামনে আসে যেগুলি চমকে দেয় প্রত্যেককেই। এমনকি সেগুলি বিশ্বাস করাই রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ে। সেই রেশ বজায় রেখে এবার একটি তুমুল চাঞ্চল্যকর বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। যেটি ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার একটি আস্ত ভুয়ো টোল প্লাজার (Toll Plaza) সন্ধান মিলেছে।

শুধু তাই নয়, গত দেড় বছর ধরে লাগাতার যানবাহনের কাছ থেকে ওই টোল প্লাজাটি টাকা আদায়ও করেছে। হ্যাঁ, প্রথমে বিষয়টি জেনে চমকে গেলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। মূলত, এই অবাক করা বিষয়টি ঘটেছে গুজরাটে (Gujarat)। জানা গিয়েছে, ওই রাজ্যের বামনবোর-কচ্ছ জাতীয় সড়কে একটি ভুয়ো টোল প্লাজা তৈরি করা হয়েছিল এবং দেড় বছর ধরে সেটি ক্রমাগতভাবে যাত্রীদের সাথে প্রতারণা চালিয়ে যায়।

the fake toll plaza has been found

ওই টোল প্লাজাটি গুজরাটের মরবি জেলায় জাতীয় সড়ককে বাইপাস করে একটি ব্যক্তিগত জমিতে তৈরি করা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই ভুয়ো টোল প্লাজাটি বেআইনিভাবে যাত্রীদের থেকে টাকা তুলতে থাকে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় জেলা কালেক্টর জি টি পান্ড্য জানিয়েছেন, “আমরা তথ্য পেয়েছি, ভার্গাসিয়া টোল প্লাজাটিকে আসল রুট থেকে ডাইভার্ট করে যানবাহন থেকে টোল ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। বিষয়টির তদন্ত করতে পুলিশ এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি বিস্তারিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।”

আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়ার ৩ কিমির মধ্যে আর করা যাবে না এই কাজ! কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

পাশাপাশি, হাইওয়েতে অনুমোদিত টোল প্লাজার ব্যবস্থাপক বলেন, ওই ব্যক্তিগত জমির মালিক দেড় বছর ধরে প্রতিদিন যাত্রীদের সাথে হাজার হাজার টাকার প্রতারণা করছে। হোয়াইট হাউস সিরামিক কোম্পানি নামের একটি বন্ধ কারখানার মালিকানাধীন জমি ব্যবহার করে অভিযুক্তরা মূল রুট থেকে যানবাহন সরিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: আদানির নয়া চমক! ভারতেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রিন এনার্জি পার্ক, দেখা মিলবে মহাকাশ থেকেও

এদিকে, ইতিমধ্যেই পুলিশ ওই কারখানার মালিক অমরশি প্যাটেল সহ অন্য চারজন বনরাজ সিং ঝালা, হরবিজয় সিং ঝালা, ধর্মেন্দ্র সিং ঝালা, যুবরাজ সিং ঝালা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর