বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শব্দের গতিবেগের থেকেও দ্রুতগামী সুপারসনিক জেটের কথা আগে থেকেই সকলের কাছে সুপরিচিত। এর আগেও ভার্জিন এবং রোলস রয়েস এমন একটি বিমান বানানোর পরিকল্পনা করেছিল যার গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৩৭০০ কিমি। সংস্থার দাবি ছিল লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক পৌঁছতে এই বিমানটি সময় নেবে মাত্র দু ঘন্টা। শুধু তাই নয়, প্রায় ৬০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়বে এই বিমান। কিন্তু সে সব এখন অতীত, এবার এক দুরন্ত বিমানের কথা সকলের সামনে আনলো ভেনাস। যার গতি শব্দের গতির তুলনায় ১২ গুণ বেশি।
ভেনাস এরোস্পেস কপ এমন একটি বিমানের পরিকল্পনা করতে চলেছে যা লস অ্যাঞ্জেলস থেকে জাপানের টোকিও অব্দি পৌছাবে মাত্র এক ঘন্টায়। সংস্থা তরফে জানানো হয়েছে এই হাইপারসনিক যাত্রীবাহী স্পেসপ্লেনটির গতি হতে পারে প্রায় ঘণ্টায় ৯ হাজার মাইল অর্থাৎ প্রায় ১৪ হাজার ৪৮৪ কিলোমিটার৷ এই প্রোজেক্ট সফল হলে এটিই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বিমান।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিকল্পনা মূলত প্রাক্তন ভার্জিন অরবিট এলএলসি কর্মী সারা ডাগলেবি ও তার স্বামী অ্যান্ড্রু ডাগলেবির মস্তিষ্কপ্রসূত। কিছুদিন আগেই দূরত্বের জন্য তাদের ৯৫ বছর বয়সী ঠাকুমার মৃত্যুকালে সময় মত পৌঁছতে পারেননি তারা। আর তারপর থেকেই এই পরিকল্পনা নিয়ে ভাবনা শুরু করেন ওই দম্পতি।
ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট একটি ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে এই প্লেনটির জন্য। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ জন বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার এবং সাপোর্ট স্টাফ দিনরাত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভেনাসের আশা খুব শীঘ্রই পৃথিবীর সব থেকে দ্রুতগামী হাইপারসনিক প্লেনটি সর্বসমক্ষে নিয়ে আসতে পারবেন তারা। কোম্পানি তরফে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বড় কোম্পানি যেমন প্রাইম মুভার্স, ড্র্যাপার অ্যাসোসিয়েট ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে বড় বিনিয়োগ করেছেন।