অনন্য নজির! ছেলের সাথেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় স্বসম্মানে উত্তীর্ন হলেন বাবা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মনের জোর এবং সদিচ্ছা থাকলে যেকোনো কিছুই করা সম্ভব। ঠিক সেইরকমই এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন এক ব্যক্তি। ছেলের সাথে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসে স্বসম্মানে পাশ করলেন তিনি। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই তাঁর লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্ণাটক সেকেন্ডারি এডুকেশন একজামিনেশন বোর্ড (Karnataka Secondary Education Examination Board) গত বৃহস্পতিবার এসএসএলসি (দশম শ্রেণি) পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই পরীক্ষায় মোট ৮৫.৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পাশাপাশি, ছাত্রীদের পাশের হার বেড়ে হয়েছে ৯০.২৯ শতাংশ। এছাড়াও, এই পরীক্ষায় ১৪৫ জন শিক্ষার্থী ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।

বাবা-ছেলে একসাথে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন:
জানা গিয়েছে যে, কর্ণাটকের বাল্লারি জেলা থেকে পিতা-পুত্র একসাথে এসএসএলসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। মূলত, কাম্পলি তালুকের দেবলাপুর গ্রামের শানমুগাপ্পা গৌদ্রু (৪১) এবং তাঁর ছেলে ভারত গৌদ্রু একসঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। শানমুগাপ্পা নির্ধারিত ৬২৫ নম্বরের মধ্যে ৩০৭ নম্বর এবং ভরত ৬২৫-এর মধ্যে ৫০০ নম্বর পেয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমত খুশির আমেজ তৈরি হয়েছে পরিবারে।

গ্রামের অন্যান্যরাও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন:
আসলে, বাবা এবং ছেলের একসাথে দশম শ্রেণি পাশের ঘটনা সত্যিই অত্যন্ত বিরল। এমতাবস্থায়, এই দু’জনকে দেখে গ্রামের অন্য বয়স্ক মানুষেরাও পড়াশোনার প্রতি উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। জানা গিয়েছে যে, শানমুগাপ্পা একজন কৃষক এবং তাঁর স্বপ্ন ছিল দশম শ্রেণি পাশ করা। পাশাপাশি, ভরত যেই স্কুলে পড়াশোনা করছে সেই স্কুলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যও তিনি।

এই প্রসঙ্গে দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, শানমুগাপ্পা মূলত, তাঁর ছেলে এবং মেয়ের কাছ থেকে পড়াশোনার জন্য অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। ভরতও বাবাকে পড়াশোনায় সাহায্য করেছিল। এছাড়াও, স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসপি সোমশেকরের কাছ থেকেও সময়ে সময়ে সাহায্য পেয়েছেন শানমুগাপ্পা। যদিও, এর আগে শানমুগাপ্পা তাঁর মেয়ের সাথে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন হিন্দি এবং কন্নড়ে পাশ করতে পারেননি। তবে, এই বছর তিনি সমস্ত বিষয়ে সাফল্যের সাথে পাশ করেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর