বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিয়েবাড়ি মানেই সকলের কাছে এক আনন্দ-উৎসব! পাশাপাশি, দেদার খাওয়াদাওয়া-সাজগোজ এবং অতিথিদের ভিড়ে যেন এক আলাদাই পূর্ণতা পায় এই অনুষ্ঠান। কিন্তু, এবার বিয়েবাড়ি সংক্রান্ত এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা শোনার পর রীতিমতো চমকে উঠবেন আপনিও! এমনিতেই, বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের তালিকা আগে থেকেই প্রস্তুত করা হয়। পাশাপাশি, সেই অনুযায়ী বিবাহের আসরে উপস্থিত হন সবাই। কিন্তু, সেই বরযাত্রীর তালিকায় সুযোগ না পেয়ে কাউকে মানহানির মামলা করতে শুনেছেন?
হ্যাঁ, শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এবার ঠিক এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছে সবার। মূলত, হরিদ্বারের একটি বিবাহের অনুষ্ঠানে এমন কান্ড ঘটেছে। যেখানে বরের এক বন্ধু বরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্র অনুযায়ী, খবর মিলেছে যে, বর তাঁর এক বন্ধুকে বিবাহ উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণ জানালেও তাঁকে বরযাত্রী হিসেবে নিয়ে যাননি। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। এমতাবস্থায়, মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির নোটিশ পাঠানো হয় ওই বন্ধুর তরফে।
এই প্রসঙ্গে হরিদ্বারের আইনজীবী অরুণ ভাদৌরিয়া জানিয়েছেন যে, বাহাদুরাবাদের বাসিন্দা রবি তাঁর বন্ধু চন্দ্রশেখরকে বিয়ে উপলক্ষ্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তাঁকে বরযাত্রী হিসেবেও যেতে বলেন। কিন্তু রবি তাঁর বন্ধুকে না নিয়ে সময়ের আগেই বিয়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এমতাবস্থায়, চন্দ্রশেখর পৌঁছে দেখেন যে, তাঁরা আগেভাগেই চলে গিয়েছেন।
মানহানির নোটিশ পাঠানো হয়:
পাশাপাশি, ওই আইনজীবী বলেন যে, চন্দ্রশেখর এই ঘটনাতে অপমানিত হন এবং তিনি এতটাই মানসিক চাপে পড়েছিলেন যে, তিনি আত্মহত্যা করার কথাও ভাবতে শুরু করেন। এদিকে, এই ঘটনার পরেই তিনি মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানির আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন রবিকে। পাশাপাশি, চন্দ্রশেখরের আইনজীবী জানিয়েছেন, চন্দ্রশেখর তাঁর বন্ধু রবিকে ফোন করলে তিনি জানান, “বরযাত্রীরা বেরিয়ে পড়েছে। এখন আর আসার দরকার নেই। বরং, তুমি বাড়িতে ফিরে যাও।”
বরের বন্ধু টেনশনে পড়ে যান:
এই প্রসঙ্গে আইনজীবী ভাদৌরিয়া বলেন, চন্দ্রশেখর মানসিক চাপে পড়ে গিয়েছিলেন এবং তিনি এই অপমান সহ্য করতে পারছিলেন না। এমনকি, চন্দ্রশেখর ফোনে রবিকে মানহানির নোটিশ পাঠানোর হুমকিও দেন। কিন্তু তারপরেও রবি বিষয়টিকে পাত্তা দেননি। এমতাবস্থায়, রবির উদ্দেশ্যে মানহানির জন্য ৫০ লক্ষ টাকার আইনি নোটিশ পাঠান চন্দ্রশেখর। শুধু তাই নয়, তিন দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।