বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে নানানরকম বিতর্কিত মন্তব্য করে গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। তিনি বরাবরই ঠোটকাঁটা প্রজাতির মানুষ। অর্থাৎ মনে তিনি যা ভাবেন সেটা স্পষ্ট করে বলতে দুই বার ভাবতে হয় না তাকে। বিপরীত দিকে যিনি থাকুন না কেন এবং তার যতটা প্রভাবই থাকুক না কেন সাধারণ মানুষের মনে, গম্ভীর নিজেরে যুক্তি তুলে ধরতে কখনো পিছপা হন না।
সাম্প্রতিক সময় কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার, বীরেন্দ্র সেওবাগদের ‘পান মশালা’র বিজ্ঞাপন করা নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন। যে কিংবদন্তিদের নাম করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই একেক জন আইকন। তাদের এই বিজ্ঞাপনগুলি দেখে বাচ্চাদের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেছিলেন গম্ভীর।
আশ্চর্যজনকভাবে তার এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ্যে আসার পরেই এই বিষয় নিয়ে একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে বিসিসিআই। এবার থেকে তামাকজাত দ্রব্য, অ্যালকোহল যুক্ত পানীয়, অনলাইন বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা এবং যৌন আবেদনময়ী পণ্য প্রস্তুতকারী কোনও সংস্থা আর ভারতীয় ক্রিকেটের স্পন্সর হতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
যদিও বিসিসিআই দাবি করেছে যে তাদের এই পদক্ষেপ অনেকদিন আগে থেকেই নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু অনেকে মনে করছেন গৌতম গম্ভীর প্রকাশ্যে এসেই নিজের এই মদ খোলাখুলি জানানোর পর তরিঘড়ি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। গৌতম গম্ভীর এই প্রসঙ্গে সচিন টেন্ডুলকারের উদাহরণ দেখিয়ে বলেছিলেন যে কিভাবে কোটি কোটি টাকার অফার থাকা সত্ত্বেও সচিন এই জাতীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন করতে কোনওদিনও উৎসাহ দেখাননি।
কিছুদিন আগে সচিন জানিয়েছেন যে ব্ল্যাঙ্কচেক নিয়ে অনেক তামাকজাত দ্রব্যের সংস্থা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বহুবার। কিন্তু তাদের কোনও অফার সচিন গ্রহণ করেননি। এর মূল কারণ হলো তার বাবার দেওয়া আদেশ। সচিনের বাবা, রমেশ টেন্ডুলকার তাকে বুঝিয়েছিলেন যে তিনি একজন রোল মডেল এবং অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা। তার ছোটখাটো কাজগুলো অন্য অনেকের জীবনে প্রভাব ফেলে। অনেকেই তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে। তাই তাদের কোনও ক্ষতি হোক এমন কোনও কাজ সচিন করবেন না এমনটা তিনি নিজের বাবাকে কথা দিয়েছিলেন।