বাংলাহান্ট ডেস্ক : শনিবার সকাল থেকে অর্থাৎ পয়লা অক্টোবর একটি বিষয় নজরে আসে সবার। কোন পাকিস্তানি টুইটার একাউন্ট দেখা যাচ্ছে না ভারতে। নয়া দিল্লি ইতিমধ্যেই ভারতে বন্ধ করে দিয়েছে পাক সরকারের টুইটার একাউন্ট। তবে কি আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল স্ট্রাইক করল নয়া দিল্লি?
কিন্তু প্রশ্ন হল এই ডিজিটাল স্ট্রাইক আসলে কি?
ডিজিটাল স্ট্রাইক হল কোন দেশের সমস্ত টুইটার একাউন্ট ডিজিটালই বন্ধ করে দেওয়া অন্য কোন দেশে। অর্থাৎ ডিজিটাল স্ট্রাইক এর মাধ্যমে নয়া দিল্লি পাকিস্তানের সমস্ত মানুষের অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করে দিল। কেউ ও এখন ভারত থেকে কোন পাকিস্তানের টুইটার একাউন্ট দেখতে পাবেনা।
ইতিমধ্যেই জানা গেছে যে ভারত সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল এবং তারপরে এই ডিজিটাল স্ট্রাইক এর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি সংবাদ সংস্থা স্ক্রিনশট শেয়ার করে পোস্ট করে এবং জানান যে পাকিস্তান সরকারের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে ভারতে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো কারণ জানানো হয়নি নয়া দিল্লির তরফ থেকে। কিন্তু গত মাসে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনাকে কারণ হিসেবে ধরে নিচ্ছেন সমালোচকেরা।
কি সেই কারণ?
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে কিছুদিন আগে বক্তব্য রাখতে যান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। সেখানে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন। এই ঘটনায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পরে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা সমালোচনা করে ভারত। ভারতের তরফ থেকে গত ২৪ শে সেপ্টেম্বর পাক সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ দাখিল করা হয়। ভারত স্পষ্টতই পাক সরকারকে উদ্দেশ্য করে পরামর্শ দেয় সন্ত্রাসবাদের সহযোগিতা করার থেকে বিরত থাকতে। যাতে সন্ত্রাসবাদ আর না ছড়ায় সেই জন্যই ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের টুইটার ভারতে বন্ধ করার। এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহল।