বাংলাহান্ট ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্যও রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ ইত্যাদি খুবই জনপ্রিয়।
এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন আরও একটি প্রকল্প আনা হয়েছে যেটির মাধ্যমে পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য টাকা দেওয়া হবে। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া বা ওবিসি শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার এই বিশেষ প্রকল্প এনেছে। এই প্রকল্প চলতি বছরেই শুরু করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে মেধাশ্রী প্রকল্প (Medhashree Scholarship)।
রাজ্য সরকারের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগের আওতায় মেধাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার পিছিয়ে পড়া শ্রেণী বা ওবিসি পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য করবে। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা। আশা করা হচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য পেলে পড়ুয়াদের মধ্যে পড়াশোনার ইচ্ছা আরও বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পের ফলে কমতে পারে স্কুল ছুটের সংখ্যা।
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মেধাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের বাৎসরিক ৮০০ টাকা করে দেওয়া হবে। পড়ুয়ারা একটি ক্লাসে একবারই স্কলারশিপ পাবে। পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আর টাকা পাবে না। পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে।
অনলাইনে http:// wbmdfscholarship.org ওয়েবসাইট থেকেও আবেদন করা যাবে এই প্রকল্পের জন্য। আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। অবশ্যই আবেদনকারীকে ওবিসি অন্তর্গত হতে হবে এবং রাজ্যের সরকারি অথবা সরকার অনুমোদিত স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া হতে হবে। যে সকল পড়ুয়ার পরিবারের বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার বেশি তারা এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না।
এছাড়াও যারা অন্যান্য সরকারি স্কলারশিপ পান তারা এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য নন। আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে স্পষ্টভাবে জেলা, ব্লকের নাম, নিজের নাম, বাবা-মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, ব্যাঙ্কের IFSC কোড সহ অ্যাকাউন্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে। নথি হিসেবে দিতে হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বইয়ের প্রথম পাতা, ইনকাম সার্টিফিকেট, আধার কার্ডের ফটোকপি এবং দিতে হবে বৈধ মোবাইল নম্বর।