বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কাটমানি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে,তার মধ্যে অন্যতম হল কন্যাশ্রী (Kannayashree)বিষয়ক কাটমানি চাওয়া। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের রসখালি পঞ্চায়েতের দমদমার অঞ্চলে। পল্লবী নস্কর নামে একটি মেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীপঙ্কর নস্করের নামে বিষ্ণুপুরের বিডিওর কাছে কাটমানি চাওয়ার জন্য লিখিভাবে অভিযোগ জানায়।
পল্লবী জানায়, সম্প্রতি সে কন্যাশ্রীর ২৫,০০০ টাকার পাওয়ার জন্য আবেদন জানায় আধিকারিকদের কাছে। কিন্তু তাঁরা তাঁকে ‘অবিবাহিত প্রমাণপত্র’ জমা দেওয়ার কথা বলেন। সেই কারণে সে রসখালি পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে যায়। কিন্তু তিনি জানান পল্লবীকে এই তথ্য দিতে পারবে একমাত্র পঞ্চায়েত সদস্য দীপঙ্কর নস্কর। তৎক্ষণাৎ সে দীপঙ্কর নস্করের কাছে গেলে সে কাটমানি চায় বলে অভিযোগ করে পল্লবী।
তৃণমূল কগ্রেসের (TMC) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) লোকসভা কেন্দ্রের ছাত্রী পল্লবী তাঁর দিদিকে নিয়ে দীপঙ্কর নস্করের বাড়িতে যায়। সেখানে দীপঙ্কর বাবু তাঁকে কাটমানি দেওয়া কথা বলেন। ১০০ দিনের কাজের পারিশ্রমিক হিসাবে তাঁর বাবা-মা যে টাকাটা পেয়েছে, সেটা তাঁকে দিতে হবে বলেন দীপঙ্কর বাবু। এতে ছাত্রী অবাক হয়ে গেলে, তাঁকে অকথ্য গালিগালাজ করে দীপঙ্কর নস্কর এবং তাঁর স্ত্রী-এমনটাই অভিযোগ করে পল্লবী।
এই অভিযোগের বিরুদ্ধে দীপঙ্কর নস্কর বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা তিনি তাঁর বাড়ি বন্দক রেখে সকলকে এমনকি পল্লবীর বাড়ির লোককেও দিয়েছেন বলে। তবে সরকারের থেকে এই টাকা পাওয়ার পর তাঁকে ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মেয়েটিকে আলাদা করে কোন টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। তবে এখনও কেন পল্লবী ‘অবিবাহিত প্রমাণপত্র’ পায়নি, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।