কনের জন্য মিষ্টি কিনতে গিয়ে যৌতুকের বাইক নিয়ে উধাও হলেন বর, তারপরে যা ঘটল….

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে মাঝেমধ্যেই বিবাহ (Marriage) সম্পর্কিত এমন কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ সামনে আসে যেগুলি জানার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যান সকলেই। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার বিহারের (Bihar) ছাপড়া জেলা থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মধুচন্দ্রিমার দিন কনের জন্য মিষ্টি কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বর। এমতাবস্থায়, সারা রাত কেটে গেলেও আর বাড়িতে ফেরেননি তিনি।

তারপরেই সামনে আসে আসল সত্য। মূলত, যৌতুকে পাওয়া বাইক নিয়ে রীতিমতো “উধাও” হয়ে যান বর। যার ফলে রাতভর বরের খোঁজ চালান পরিবারের সদস্যরা। এমনকি, আত্মীয়স্বজনদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হলেও সন্ধান মেলেনি বরের। এদিকে, পরিবারের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা গিয়েছে, নিখোঁজ বরের নাম হল জিয়ালাল। পাশাপাশি, ২৪ বছর বয়সী জিয়ালালের বাবার নাম দীনেশ মাহাতো। তিনি ভাউরাহা গ্রামের বাসিন্দা। গত ২৫ জুন, জিয়ালালের বিয়ে হয় জ্যোতি কুমারীর সাথে। জ্যোতির বাবার নাম হল কাশী মাহাতো। তিনি নেথুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

এমতাবস্থায়, গত ২৬ জুন সন্ধ্যে ৬ টার দিকে জিয়ালাল স্থানীয় বাজারে গিয়েছিলেন। যেটির দূরত্ব ছিল বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার। এদিকে, তিনি মিষ্টি কিনতে যাচ্ছেন বলে বাড়িতে জানালেও তারপর থেকেই আর সন্ধান মেলেনি জিয়ালালের।

বিষয়টি জানানো হয়েছে থানায়: ইতিমধ্যেই জিয়ালালের বাবা দীনেশ মাহাতো পানাপুর থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমতাবস্থায়, পানাপুর থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তবে, এখনও পর্যন্ত জিয়ালাল নিখোঁজ থাকায় কোনো সূত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ। পাশাপাশি, বিয়ের দিন উপস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।

marriage

একই ঘটনা ঘটেছে কানপুরেও: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে কানপুরেও ঠিক এই একই ঘটেছে। সেখানেও বিয়ের দিন বর উধাও হয়ে যান। যার ফলে বিয়েতে উপস্থিত একজন অতিথির সাথেই বিয়ে সম্পন্ন হয় কনের। কানপুরের মহারাজপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কনের বাবা বর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও, বরের পরিবারও এই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার বিষয় অভিযোগ দায়ের করে বলে জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর