স্বল্পবসনা রমণীর সঙ্গে চটুল গানে উদ্যাম নাচ! উলুবেড়িয়ার মাতাল প্রধান শিক্ষকের কীর্তি ভাইরাল

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আমরা ছোট্ট থেকে জানি শিক্ষক (Teacher) নাকি আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আমাদের আসার আলো দেখায়। কিন্তু সেই শিক্ষকই যখন মদ্যপান করে মদের ঘোরে নাচানাচি করেন তখন এই কথাগুলো কোনও জায়গায় যেন দামহীন বলে মনে হয়। এমনি এক ঘটনা ঘটলো হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় (Uluberia)।

২৫শে ডিসেম্বর বড়দিনের রাতে উলুবেড়িয়ার এক এলাকায় জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জলসায় চটুল গানের সাথে নাচও চলছিল। তার সাথেই চলছিল বিকৃত অঙ্গভঙ্গি এবং অশ্লীল আচরণ। সেই মঞ্চেই দেখা গেছে এক বয়স্ক লোককে, যে নাকি নিজের পরনের জামা খুলে কোমরে বেঁধে নাচ করছিলেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি মদে টাল হয়ে এক তরুণীর সাথে গানের তালে তালে নাচছেন। এই নাচের ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হওয়ায় তা দেখে সকলের চোখ কপালে উঠেছে।

জানেন কে এই শিক্ষক?

ইনি উলুবেড়িয়ার শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকের ‘বিনোদচক তপশীলই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের’ (Vinodchak Tapsheel Primary School) প্রধান শিক্ষক (Head Teacher)। তার শরীর ভালো না থাকার জন্য তার হয়ে তার মেয়ে ওই স্কুলে যায়। সেই স্কুলে বই বিতরণের সময়ও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তার বদলে উপস্থিত ছিল তার মেয়ে। কিন্তু তার মেয়েকে তার নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে সে রেগে যায়। এই প্রধান শিক্ষকের নাম চন্দন দে (Chandan Dey)।

এমন রেগে যাওয়ার কারণ?

চন্দন দে-র মেয়ের নাম রিয়া দে (Riya Dey)। তার মেয়েকে বাবার নিয়ে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, ‘বাবার শরীর তেমন ভালো না। অসুস্থতায় দিন কাটছে তার। বাবা অনুমতি নিয়েই আমাকে স্কুলে আসতে বলেছেন। তাই তার অনুপস্থিতিতে আমি স্কুলে আসছি এবং তার হয়ে ক্লাস দিচ্ছি। এতে কারও ক্ষতি তো হচ্ছে না’।

2345

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সাংবাদিকেরা (Journalist) রিয়া দে-র ছবি তুলতে গেলে, সে ক্যামেরা ম্যানকে (Camera Man) ধাক্কা মারেন। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক আসলে অসুস্থ নয়। তিনি অসুস্থতার ভান করে ঘরে বসে মদ পান করেন। তার স্কুলের সমস্ত দায়িত্ব, কর্তব্য ছেড়ে দিয়ে মেয়ের উপর চাপিয়ে, নিজে অসামাজিক কাজ করে বেড়ান। তা দেখে সেখানকার এলাকাবাসী ক্ষোভে থাকেন তার উপর।

সূত্রে খবর, এই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতে না হতেই প্রশাসনের কানে পৌঁছেছে এই খবর। এই বিষয়ে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেছেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। স্কুলে গিয়ে তদন্ত করা হবে। যদি এই ঘটনা সত্য প্রমাণ হয় তাহলে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে’।

সম্পর্কিত খবর