বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঝুলেই রইল প্রাথমিকের ১১ হাজার নিয়োগ মামলা (Primary Teacher Recruitment Case)। চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে সুবুজ সংকেত পেল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় বহাল রইল পূর্বের নির্দেশ। অর্থাৎ কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। নিয়োগ মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে যাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ছে চাকরিপ্রার্থীদের।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের কথা জানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় পর্ষদ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ জানায়, টেট উত্তীর্ণ ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরত ডিএলএড প্রার্থী সহ ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয় মামলা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা উঠলে বিচারপতি পর্ষদের পক্ষে রায় দেয়।
তবে পরে ওই মামলা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে যায়।সেই সময় পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। প্রশিক্ষণরতরা নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গেলে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করতে হবে বলে জানায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এরই মধ্যে দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানায় ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হবে। মামলাকারীদের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ডিএলএড কোর্সের ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। আর নভেম্বর মাস থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই যুক্তি এনে প্রশিক্ষণরতদেরও সুযোগ দেওয়ার কথা জানান তারা।
আরও পড়ুন: লক্ষীর ভাণ্ডার অতীত! এবার মহিলাদের জন্য বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের, প্রতিদিন মিলবে ৩০০ টাকা
এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চে মামলাটি গেলে তারা জানান, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। সেই থেকে মামলাটি একাধিকবার শুনানির জন্য উঠলেও তা পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে ঝুলেই আছে ১১ হাজারের ভাগ্য। আগামী ২২ জানুয়ারি ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।