বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘন্টার তারপরেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। বিরাট এবং বাবরদের এই লড়াই দেখার জন্য প্রায় দু’বছর ধরে অপেক্ষা করছেন সমর্থকরা। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারত পাকিস্তানের সবথেকে চর্চিত ম্যাচ হয়েছিল ২০০৭ সালে। ট্রফি জয়ের লড়াইয়ে সেবার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের কয়েকজন নায়ককে।
যোগিন্দর শর্মাঃ
ফাইনাল ম্যাচে ভারতের হয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওভারটি করেছিলেন যোগিন্দর। শেষ ওভারে দুরন্ত ফর্মে থাকা মিসবাহের সামনে ১৩ রান আটকাতে হত ভারতকে। কিন্তু মিসবাহকে আউট করে এই ম্যাচে জয় এনে দেন যোগিন্দর। দুর্দান্ত ক্যাচে নেন শ্রীসান্থও। কার্যত তাদের যুগলবন্দিতেই এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জয় করে ভারত। বর্তমানে যোগিন্দর হরিয়ানায় ডিএসপি হিসেবে কর্মরত।
যুবরাজ সিংহঃ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছ বলে ছটি ছক্কা মেরে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন যুবরাজ। শুধু তাই নয় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বলে হাফ সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও এই বিশ্বকাপে গড়েছিলেন যুবরাজ। বর্তমানে তিনি অবসর নিয়েছেন ক্রিকেট থেকে। এখন যুবরাজ কোন চাকরি করেন না ঠিকই তবে যুবি ক্যান নামক একটি এনজিও চালান তিনি।
গৌতম গম্ভীরঃ
একদিকে যেমন বল হাতে যোগিন্দর শর্মা ছাড়া জিততে পারত না ভারত, তেমনই ব্যাট হাতে ৭৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ভারতকে লড়াকু স্কোরে পৌঁছে দিয়েছিলেন যে ব্যাটসম্যান তিনি হলেন গৌতম গম্ভীর। এখন অবশ্য ক্রিকেট ছেড়ে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন গৌতম। দিল্লি থেকে বিজেপির সাংসদ হিসেবে লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। একইসঙ্গে ধারাভাষ্যকার হিসেবেও দেখা যায় গৌতমকে।
ইরফান পাঠানঃ
ফাইনালে ভারতের হয়ে বল হাতে আরেক নায়ক ছিলেন ইরফান। গোটা বিশ্বকাপে তো বটেই ফাইনাল ম্যাচে তিনি মাত্র ১৬ রান দিয়ে দখল করে নিয়েছিলেন ৩ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। এই লো স্কোরিং ম্যাচে ভারতের হয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচও ছিলেন তিনি। বর্তমানে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন ইরফান।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনিঃ
অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দৌলতেই ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দখল করেছিল ভারতের তরুণ দল। ২০০৭-১৬ সাল অবধি ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহি। বর্তমানে অবশ্য ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি, তবে এবারও তিনি দলের সঙ্গে রয়েছেন মেন্টর হিসেবে।