বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে জেলের ভাত খেয়ে ওজন কমেছে কেষ্টর, অন্যদিকে CBI ও ED এই দুই তদন্তকারি সংস্থার চাপে নাজেহাল বাংলার হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । অন্যদিকে এসবের মাঝেই রাজধানীতে নিয়ে কেষ্টকে জেরার তোড়জোড়ে উদ্যত গোয়েন্দাকারী সংস্থা।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিল ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর হতেই দিল্লি আদালতে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে কেষ্ট। তবে সেই মামলার শুনানি ৭ দিন পিছিয়ে যাওয়ায় এখনই তাকে নিয়ে রাজধানীতে যেতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ফলে আপাতত খানিক স্বস্তিতে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল।
প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে জেরার জন্য রাজধানীতে নিয়ে গেছে ইডি। তবে এখনো আসানসোল আদালতেই রয়েছেন অনুব্রত। গত ১৭ নভেম্বর আসানসোল জেলে গিয়ে দফায় দফায় অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা । ইডি জেরায় সঠিকভাবে সহযোগিতা না করায় তাকে গ্রেফতার করে ইডি। এরপরই তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরার তোড়জোড় শুরু ।
দিল্লির রাউলস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। তা মঞ্জুর হতেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি থাকলেও, কাজের ব্যস্ততায় আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এই কারণে মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় দিল্লি হাইকোর্টে।
অন্যদিকে, ইডি অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী কপিল সিব্বল এর এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করার পরেও কোনো লাভ হয়নি । দিল্লি হাইকোর্ট অনুব্রত মণ্ডলের আবেদনে সম্মতি জানিয়ে এই মামলার শুনানি গোটা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়। সাথেই হাইকোর্ট জানায়, আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে আনা যাবে না অনুব্রত মণ্ডলকে। ফলে আদালতে থেকেও ৭ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্বস্তিতে ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডল।