বাংলা হান্ট ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে রাতেবিরেতে খোঁজ করতেই খাটের তলা থেকে বেরোল বৌমার প্রেমিক।তারা ভেবেছিল ঘরে চোর ঢুকে পড়েছে কিন্তু জানলো বৌমার প্রেমিক। গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্বপন সাইয়ের সন্দেহ হয় বাড়ির বাইরে পড়ে রয়েছে চটি জোড়া দেখে। সেই জোড়া চটি পরিবারের কারও নয়। তা দেখে স্ত্রীকে ডাকেন তিনি। পুরো বাড়ি খোঁজ শুরু হয়। তারপর ডাকা হয় ছোট ভাই তপন সাউয়ের স্ত্রী মৌসুমীকে। যেহেতু পেশায় ট্যাক্সিচালক তাই দিনের বেশি সময় তপনবাবু তখন বাড়ির বাইরে থাকে। চোর ধরতে নেমে পড়েন মৌসুমীও। খুঁজতে খুঁজতে তাঁর ঘরের খাট থেকে বেরিয়ে এলেন সুভাস দাস। তিনি আবার তপন সাউয়ের বন্ধু। সুভাস বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমপর্ব চালিয়ে যাচ্ছেন।
পেশায় ক্যাবচালক তপন সাউ থাকেন সোনারপুরে মালঞ্চে। বছরখানেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন মৌসুমীকে। তিনি পেশায় টেলিকলার। একবছরের মধ্যেই স্বামীর বন্ধু সুভাস দাসের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মৌসুমী। স্বামী রাতে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। সেই সুযোগেই মৌসুমী প্রেমিককে ঘরে ডেকে আনে। চটি খুলে ঘরে ঢোকেন, এই একটা ভুল করে ফেলে সুভাস। রাতে শৌচালয়ে যেতে গিয়ে চটিজোড়া নজরে আসে তপনের দাদা স্বপন সাউয়ের। বাড়িতে চোর ঢুকেছে বলে সন্দেহ হয় তাঁর। তারপর খোঁজাখুঁজি শুরু হতেই ছোটভাইয়ের ঘরের খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসে প্রেমিক।
গোটা ঘটনায় হতবাক মৌসুমীর স্বামী তপন সাউ। বিশ্বাসের এমন দাম যে পাবেন, ভেবেই দিশেহারা তিনি। হাতেনাতে তারা ধরা পড়ে। তারপর মৌসুমী ও সুভাসের বিরুদ্ধে উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের গ্রেফতার করে সোনাপুর পুলিশ। দুজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বারুইপুর আদালতের বিচারক।