তৃণমূলের জামানায় বাংলার কৃষকদের আয় হয়েছে ৩ গুণঃ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। সম্মেলনের শুরুতেই নন্দীগ্রামের শহিদদের প্রসঙ্গ উত্থাপনে করে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আজকের দিনে সম্মানের সঙ্গে শহিদদের স্মৃতিচারণ করছে তৃণমূল।

এদিকে ৭ ই জানুয়ারি সূর্য ওঠার আগেই শহিদ স্মরণের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে ভাঙাবেড়িয়ায় শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারও আগে রাত ১২টার সময় সোনাচূড়ায় পৌঁছান। সেইসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়েছেন, কোন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে নয়, নন্দীগ্রামে তিনি পূর্বেও এসেছিলেন এবং ভবিষ্যতেও আসবেন।

chandrima bhattacharya 13 1492061384

এদিনের সংবাদ সম্মেলনে শুভেন্দুর নাম না করেই চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার প্রতিটি মানুষ জানেন নন্দীগ্রামের জন্য মমতা ব্যানার্জির অবদানের কথা, তাই প্রাক্তন তৃণমূল নেতার কোন দাবির পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে চান না তারা।

কৃষকদের উপার্জনের বিষয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘বাংলায় ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পোর্ট কৃষকের আয় প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ছিল গড় আয় ৯০ হাজার, আর এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা কৃষক বন্ধু স্কিমের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় প্রত্যেক কৃষককে। আবার ১৮ বছরের থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে কোন কৃষক মারা গেলে, ২ লক্ষ টাকা করেও দেওয়া হয়’।

তিনি আরও বলেন, ‘শস্যবিমার প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃষকদের অন্যান্য রাজ্যে। কিন্তু বাংলায় এই অর্থ সরকার দেয়। এদিকে আবার কেন্দ্র সরকার বলেছিল ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে মনে হচ্ছে ২০২৮ সালের আগে কখনই এটা সম্ভব নয়’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর