বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্দান্ত শুরু হয়েছে এবছর কোহলিদের ইংল্যান্ড সফর, নটিংহ্যামে প্রথম টেস্টে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল ভারতীয় দল। যদিও শেষ পর্যন্ত খারাপ আবহাওয়ার কারণে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের, কিন্তু লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে সমস্ত আক্ষেপ মিটিয়ে নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই ১৫১ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-০ লিড নিয়ে নিয়েছে বিরাট বাহিনী। কিন্তু নটিংহ্যাম হোক বা লর্ডস ভারতের জয়ের পথে বারবারই যে ব্যাটসম্যান সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি অবশ্যই জো রুট। ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট ভারতের বিরুদ্ধে এমন ভাবেই খেলেন যেন যুদ্ধ জয়ে নেমেছেন তিনি।
এমনকি এই বছরেই ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে তিন তিনটি সেঞ্চুরিও করে ফেলেছেন তিনি, এবছর প্রথম ভারতের চেন্নাইতে যে শতরানের ধারা বইতে শুরু করেছিল তা লর্ডসেও এখনও অব্যাহত। আসুন আজ দেখে নেওয়া যাক ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় ভয়ানক প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন যারা তাদের তালিকায় রুটের স্থান কোথায়? এক্ষেত্রে প্রথমেই নাম আসবে রিকি পন্টিংয়ের। এই প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন ভারতের বিপক্ষে আটটি শতকসহ ৫৪.৩৬ গড়ে মোট ২৫৫৫ রান করেছেন। তালিকায় এরপরই রয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। ভারতের বিরুদ্ধে ৪৭.৬৬ গড়ে ৩০ ম্যাচে ৭ টি শতক সহ মোট ২৪৩১ রান করেছেন তিনি। তার ঠিক পরেই রয়েছেন প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড। ভারতের বিরুদ্ধে ৫৮.৬০ গড়ে বিশালবপু লয়েডের সংগ্রহ ২৩৪৪ রান। রয়েছে সাতটি শতক।
কিন্তু জানলে আপনিও আশ্চর্য হবেন এই প্রত্যেক কিংবদন্তির থেকে জো রুটের ব্যাটিং গড় অনেকটাই বেশি। ভারতের বিরুদ্ধে মোট ২২ টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৬০.৪১ গড়ে সাতটি শতক দিয়ে সাজানো তার সংগ্রহশালায় রয়েছে ২১৭৫ রান। ভারতের বিরুদ্ধে রুটের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর হতে পেরেছেন কেবল মাত্র একজনই তিনি জাভেদ মিয়াঁদাদ। পাঁচটি শতকসহ তার সংগ্রহ মোট ২২২৮ রান। ব্যাটিং গড় ৬৭.৫১। অর্থাৎ শুধু ব্যাটিং গড়ের ক্ষেত্রে দেখতে গেলে ভারতের সবথেকে ভয়ঙ্কর শত্রুর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। যদিও শতকে তার থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন রুট।
তবে লিডসে আর মাত্র ৫৩ রান সংগ্রহ করে জাভেদের রেকর্ড ভেঙে দেবার সুযোগ রয়েছে রুটের কাছে এবং তিনি যে মারাত্মক ফর্মে রয়েছেন তাতে এই রেকর্ড যে লিডসেই ভাঙতে পারে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর তাই ভারত চাইবে যত দ্রুত সম্ভব ইংল্যান্ড অধিনায়ককে প্যাভেলিয়ন ফেরত পাঠাতে। কারণ কার্যত ১৪ বছর পর বিরাটের ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্নের সামনে দেওয়ালের মতই খাড়া হয়ে রয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।