বাংলা হান্ট ডেস্ক: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) লেখা “জুতা-আবিষ্কার” কবিতাটি পড়েননি এমন বাঙালি রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এক খুদে পড়ুয়ার অভিনব জুতো আবিষ্কারের বিষয়ে জানাবো। যেটি জানার পর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে সকলের।
মূলত, সম্প্রতি হুগলির চন্দননগরের বারাসাত দে পাড়ার নবম শ্রেণির ছাত্র সৌভিক শেঠ এমন এক জুতো তৈরি করে ফেলেছে যেটি পরে চলাচল করলে ওই জুতো থেকেই অবলীলায় চার্জ করে ফেলা সম্ভব মোবাইল এবং ক্যামেরার মতো ডিভাইসগুলি। শুধু তাই নয়, ওই জুতো থেকে সম্ভব জিপিএস ট্র্যাকিংও।
শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছে ওই ছাত্র। জানা গিয়েছে, সৌভিকের তৈরি এই জুতো পরে হাঁটলেই সেটি থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব। আর সেই বিদ্যুৎকে কাজে লাগিয়েই মোবাইল এবং ক্যামেরা চার্জ করা যায়। এমতাবস্থায়, সৌভিক জানিয়েছে এই জুতোর মাধ্যমে একটি 2000mAh ব্যাটারিকে অবলীলায় চার্জ করা সম্ভব। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মাত্র এক কিলোমিটার হাঁটলেই চার্জ হয়ে যাবে এই ব্যাটারি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াকালীন মামার কাছে ইলেকট্রনিক্সের কাজ খুব মন দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতো সৌভিক। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে ইলেকট্রনিক্সের প্রতি আগ্রহ জন্মাতে থাকে তার। পরবর্তীকালে আইটিআই নিয়ে পড়তে চায় চন্দননগর কানাইলাল স্কুলের ইংরেজি বিভাগের এই পড়ুয়া। তবে, ইতিমধ্যেই সৌভিকের এই আবিষ্কার বেশ কয়েকটি বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে পুরস্কার পেয়েছে।
এদিকে, এখন এই স্মার্ট জুতোর সমগ্ৰ সিস্টেমটি বাইরে থেকে করা থাকলেও এক মাসের মধ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় গ্যাজেটকে জুতোর সোলের মধ্যে ঢুকিয়ে তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছে সৌভিক। তবে, এই কাজের জন্য একটি জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থার সাহায্য চাইছে এই পড়ুয়া। যারা আর্থিকভাবে সাহায্য করবে তাকে। এদিকে, নিজের এই আবিষ্কারকে ঘিরে যথেষ্ট আশাবাদী এই পড়ুয়া। ভ্রমণ থেকে শুরু করে যাঁরা ট্রেকিংয়ে যান তাঁদের জন্য এই জুতো অত্যন্ত উপকারী হয়ে উঠতে পারে বলে জানিয়েছে সে। সর্বোপরি, এই “স্মার্ট শু”-তে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় এটি বাচ্চাদের জন্যও বেশ নিরাপদ বলে দাবি করেছে ওই খুদে আবিষ্কারক।