বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে (India) করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন আগামী ৩ রা মে অবধি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত নাগিরকদের ঘর থেকে বেরতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরিতে হলে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক ছিল।
এই লকডাউন সোমবার থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হলেও, আগামী ৩ রা মে-র পর থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাসের কারণে দ্বিতীয় দফা লকডাউন শেষ হওয়ার পর এখনও লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কিছুই সিদ্ধান্ত নেননি। তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়ে কিছু কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে এই লকডাউনের শিথিলতা দেওয়া যেতে পারে। তবে লাল এবং অরেঞ্জ জোনের অন্তর্ভুক্ত জায়গা গুলোতে এই ছাড় দেওয়া হবে না।
দেখে নেওয়া যাক কোন কোন বিষয়ের উপর মিলতে পারে এই ছাড়-
১) সবুজ জোনে থাকা অঞ্চল গুলোতে শহরের অভ্যন্তরে চলাচলের অনুমোদনের অনুমতি মিলতে পারে।
২) রাস্তায় বেরলে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্য্যবহার বাধ্যতামূলক, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার একটি অংশ হয়ে উঠবে।
৩) ঘর থেকে বেরোলেই এই মাস্ক ব্যবহার এবং হ্যান্ড স্যানেটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
৪) তবে কোন জায়গায় বেশি ভিড় জমানো যাবে না।
৫) সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে অফিসেও কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৬) বিবাহ অনুষ্ঠান, ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রে ডিএমের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
৭) মুম্বই, দিল্লি, নোয়ডা, ইন্দোরের মতো জায়গা গুলোতে ৩ রা মে-র পরও লকডাউনের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
৮) বর্তমানের তুলনায় ৩ রা মে-র পর থেকে আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা যেতে পারে।
৯) ৩ রা মে- এর পরেও ট্রেন চলাচল, বিমান চলাচলের বিষয়ে ছাড় নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।
তবে ১৫ ই মে-র পর সরকারী ভাবে পর্যালোচনা করে লকডাউনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।