বাংলা হান্ট ডেস্কঃ “একবার না পারিলে দেখো শতবার” একথা নীতিবাক্যে ছোটবেলায় আমরা সকলেই পড়েছি। তবে এবার সেই কথাকেই কার্যত বাস্তবে পরিণত করলেন দিব্যাংশু নিগম। লাগাতার দুবার প্রাথমিক পরীক্ষা পাশ করলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে মূল পরীক্ষায় গিয়ে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তৃতীয় বারের চেষ্টায় ইউপিএসসিতে সফল হয়ে নিজের এবং পরিবারের আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্নপূরণ করলেন দিব্যাংশু।
তবে রাস্তা মোটেই সহজ ছিল না তার জন্য। কিন্তু ইচ্ছাশক্তিকে কিছুতেই মরে যেতে দেননি এই তরুণ। আর আজ তারই ফল পেলেন তিনি। ২৫ বছর বয়সী দিব্যাংশু লাগাতার নিজেকে তৈরি করছিলেন ইউপিএসসি-তে সফল হওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎই তার মাথায় ভেঙে পড়ে দুঃখের পাহাড়। করোনা কালে নিজের বাবাকে হারান এই হবু আইএএস অফিসার। উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনৌর বাসিন্দা দিব্যাংশু তখন তৈরি হচ্ছিলেন ইন্টারভিউয়ের জন্য।
কিন্তু পরিবারের হানা দেয় ভয়ঙ্কর করোনা। দিব্যাংশুর বাবা এসকে নিগমকে ভর্তি করতে হয় লখনৌয়ের এসজিপিজিআই হাসপাতালে। জুন মাসে করোনা ধরা পড়ার পর থেকেই ক্রমশ বাবার স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। সম্পূর্ণ পড়াশোনা ছেড়ে বাবাকে সুস্থ করাই তখন একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে দিব্যাংশুর। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও এসকে নিগমকে বাঁচানো যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই বাবার মৃত্যুতে প্রচন্ডরকম ভেঙে পড়েছিলেন দিব্যাংশু।
কিন্তু এত দুঃখও তার লক্ষ্য থেকে তাকে সরাতে পারেনি। আবারও বই হাতে তুলে নিয়ে নিজের প্রস্তুতিতে মনপ্রাণ ঢেলে দিয়েছেন দিব্যাংশু নিগম। আর তারই কারণে এবার তৃতীয় বারের চেষ্টায় সফল হলেন তিনি। ইউপিএসসি পরীক্ষায় পেলেন ৪৪ তম স্থান। আজ বাবা থাকলে ভীষণ খুশি হতেন দিব্যাংশুর এই সাফল্য দেখে। প্রথম দুবার প্রিলিম পাশের পরেও ছিটকে গিয়েছিলেন এই আইএএস অফিসার। বিআইটিএস পিলানি (গোয়া) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করা দিব্যাংশু নিগম হাল ছাড়েননি। অবশেষে তৃতীয় প্রচেষ্টায় পাশ করলেন তিনি।