বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অটোচালক বাবার তীব্র দারিদ্র্যের সংসার থেকে স্বপ্ন দেখতে শুরু করা মহম্মদ সিরাজ এখন ভারতের সেরা জোরে বোলারদের অন্যতম। একই গল্প নটরাজনেরও বাবা স্টেশনে করতেন কুলির কাজ, সেখান থেকেই ক্রিকেটের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন নটরাজন আজ তিনি ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা। ক্রিকেট এমন একটি খেলা রাতারাতি স্টার বানিয়ে দিয়েছে অনেক অচেনা অন্ধ গলি থেকে উঠে আসা তীব্র পরিশ্রমী মানুষদের। এবার ফের সামনে এলো এমনই এক কাহিনী।
এই কাহিনীর নায়িকা মেঘনা সিং, বর্তমানে তিনি ভারতীয় মহিলা দলের অন্যতম মিডিয়াম পেস বোলার। আগামী অস্ট্রেলিয়া সফরে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হতে চলেছে তার। এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মেঘনা। দুটি ম্যাচেই অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই মেঘনার উঠে আসার গল্প ছিল ভীষণই কঠিন।
বিজনোরের একটি ছোট্ট গ্রাম কোতোয়ালি দেহাটের বাসিন্দা মেঘনার বাবা একটি সুগারমিলে গার্ডের চাকরি করেন, মা একজন অঙ্গনওয়ারী শিক্ষিকা। এ ধরনের পরিবার থেকে ক্রিকেটের স্বপ্ন দেখা যে কতটা কঠিন, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু অদম্য জেদ আর স্বপ্ন দেখার সাহস আজ মেঘনার হাতে তুলে দিয়েছে ভারতীয় দলের নীল জার্সি। পাড়ার দাদাদের সঙ্গেই ছোটবেলায় শুরু হয় তার ক্রিকেট। সেখান থেকেই খেলার প্রতি ভালোবাসা।
ছেলেদের সঙ্গে খেলতে খেলতে খেলাতেও যথেষ্ট উন্নতি করেছিলেন মেঘনা। সেখান থেকেই জেলা এবং তারপর রাজ্য পর্যায়ের ক্রিকেট শুরু। চরম দারিদ্র্যের মধ্যেও স্বপ্ন দেখা থামাননি ২৭ বছর বয়সী এই মিডিয়াম পেসার। ২০১৫ সালে প্রথমবার ডাক পান ইন্ডিয়া এ দলে। তারপর থেকে শুরু একের পর এক সফর। মহিলাদের আইপিএলে ভেলোসিটির হয়েও মাঠে নেমেছিলেন তিনি। অবশেষে স্বপ্ন সফল হল। সামনের অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত মেঘনা।