বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লকডাউনের পর বাজার খুলতে না খুলতেই মদের দোকানের সামনে লাইন দেখে রীতিমতো চক্ষু স্থির হয়ে গিয়েছিল রাজ্যবাসীর। তবে দাম বাড়ায় অনেকটাই কমে গিয়েছে বিক্রি, যার জেরে কমে গিয়েছে সরকারি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণও। এবার তাই সূরাপ্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেপ্টেম্বর থেকে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমতে পারে বিদেশী মদের দাম।
জানা গিয়েছে এই মর্মে ইতিমধ্যেই অন্য রাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি নতুন করের তালিকা অর্থ দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছে আবগারি দপ্তর। এখন অর্থ দপ্তর মঞ্জুরি দিলেই আগামী মাস থেকে লাগু হবে এই নতুন নিয়ম। এরাজ্যে সূরাপ্রেমীদের সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়। কিছুদিন আগেই এই নিয়ে গোটা দেশে যৌথসমীক্ষা চালায় ICRIER এবং আইনি পরামর্শদাতা সংস্থা পিএলআর চেম্বার্স। দেখা গিয়েছে, সূরা প্রেমীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। এ রাজ্যে মদিরার প্রেমে মাতাল প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ।
আর তাই সহজেই অনুমেয়, এর থেকে আদায় করা রাজস্বের পরিমাণ ঠিক কতটা। সেই রাজস্বের পরিমাণ ঘাটতি হওয়াতেই তাই এখন দাম কমানোর পথে হাঁটছে রাজ্য। করোনা কালে এক ঝটকায় অনেকটা দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে। তার উপর আবার চোরাপথ দিয়ে অন্য রাজ্য থেকেও মদ আসছে পশ্চিমবঙ্গে। আর তাই অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দম ঠিক করার এই সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে নবান্ন।
যদিও সুখবর শুধুই বিদেশি সূরা আসক্তদের জন্য। জানা গিয়েছে নতুন কর লাগু হলে রাম, হুইস্কি, স্কচ প্রভৃতি বিদেশী এবং ইন্ডিয়া মেড লিকারের দাম কমবে ঠিকই, কিন্তু দেশি মদের ক্ষেত্রে দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে। সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে ভারতে প্রায় প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা।