বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি তুমুল চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) থেকে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, সেখানে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে যান এক বিবাহিত শিক্ষক। আর তারপরেই তুমুল মারধর করা হয় তাঁকে। এমনকি, একটা সময়ে মারের চোটে তাঁর মাথা ফেটে রক্তও ঝরতে থাকে। তার ওপরেই চলে বেদম প্রহার। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শ্রীরামপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই বিপদে পড়ে যান ওই শিক্ষক। এদিকে, বিবাহিত হয়েও প্রেম করার জন্য মারধরের পাশাপাশি গ্রামেই সালিশি সভা ডেকে ওই শিক্ষককে আট লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, প্রবল মারের চোটে আহত ওই শিক্ষক আপাতত কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার নেড়াদেউলের বাসিন্দা ওই স্কুল শিক্ষক ওই জেলারই চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এদিকে, কয়েক দিন আগেই ওই কলেজছাত্রীর পরিবার জানতে পেরে যায় যে, ওই শিক্ষক আসলে বিবাহিত। তারপরেই ওই শিক্ষক প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এলে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পরিবারের লোকজন।
শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষিককে মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধরও করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় থাকা শিক্ষককে মারের ভিডিও ইতিমধ্যেই তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে কিছুজন তাঁকে লাথি-ঘুষি মারছেন। পাশাপাশি ওই শিক্ষকের মাথা ফেটে রক্তও বেরোতে দেখা যায়।
তারপরেই ওই শিক্ষককে গ্রামের সালিশি সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে, চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও এই বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পাশাপাশি, আহত শিক্ষকের পরিবারও এই প্রসঙ্গে কিছু জানায়নি। তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক জন জানিয়েছেন, শিক্ষককে এই মারধরের ঘটনায় শাসকদলের কয়েক জন নেতা সহ গ্রামের মাতব্বররা জড়িত ছিলেন।