করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বাসের যাত্রী সংখ্যা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করল মমতা সরকার

   

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষ লগ্নে এবার লকডাউন পর্বে কার্যত যবনিকা টেনে শুক্রবার অফিস-কাছাড়ি খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। কিন্তু গণ পরিবহণ পুরো দস্তুর স্বাভাবিক নাহলে মানুষ অফিসে পৌঁছবে কী করে সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বাড়তি ভাড়া না পেলে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে বাস চালিয়ে লাভ নেই, এই যুক্তিতে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামাননি মালিকরা। ফলে এখন ভরসা শুধুমাত্র সরকারি বাস। যার সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বাসে যাত্রী তোলার বিধি কিছুটা শিথিল করল রাজ্য সরকার। এদিন নতুন সেই বিধি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee)।

তিনি জানান, এতদিন বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। এবার তা বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিল সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বাসে যতগুলো আসন ততজন যাত্রী তোলা যাবে। তবে যাত্রীদের জন্য মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু জায়গায় বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার দাবিতে কনডাক্টরদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে। এরকম হলে সেই রুটে বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, বাসে কোনও যাত্রীকে দাঁড়িয়ে সফর করানো যাবে না। সঙ্গে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি মানতে হবে।
তবে মেট্রো, শহরতলির ট্রেন পরিষেবা এখনও বন্ধ।

lockdown 2222

কবে থেকে তা চালু করা হবে সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। রাজ্য সরকার ভাড়া বাড়াতে রাজি না হওয়ায় ঝুলে রয়েছে বেসরকারি বাস চলাচল। এমত অবস্থায় শুধু সরকারি বাসে যাত্রী বাড়িয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি ছাড়া আর কোন লাভ হবে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।

mamata banerjee 1

অন্যদিকে, করোনা আবহে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের। ৮ জুন থেকে রাজ্যে পুরোপুরি চালু হচ্ছে সব অফিস।  পয়লা জুন চা ও জুট শিল্পে কাজ করতে পারবেন ১০০ শতাংশ কর্মীই। সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি ১ জুন থেকেই রাজ্যে খুলছে সব  ধর্মস্থান। কাল থেকে মন্দির, মসজিদে সাফাইয়ের কাজ শুরু হবে। তবে এখনই উত্সবে ছাড় নয়। এবং একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষকে মন্দির মসজিতের ভিতরে না ঢোকার আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কবে রাস্তায় বেসরকারি বাস? সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার বৈঠকে বসছে বাসমালিক সংগঠনগুলি। সেখানেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে তারা। তবে সব সিটে যাত্রী বসলে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের কী হবে? তা নিয়েও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে বাস মালিক সংগঠনগুলি।

সম্পর্কিত খবর