বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী (Mamata Banerjee) কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের প্রায় ১০ লক্ষ গরীব মানুষকে ঘর দেবে রাজ্য সরকার। সেই মতো চলছিল নাম অন্তর্ভুক্তের কাজও। তবে আমফান পরবর্তীতে তিনি জানালেন, এই কাজ পূজোর আগেই সম্পন্ন করা হবে। ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ ২১ হাজার মানুষের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে, আর বাকি রয়েছে ৫ লাখ ৭৯ হাজার।
মুখ্যমন্ত্রীর গৃহীত সিদ্ধান্ত
গ্রামীণ অর্থনীতিকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে গত ২১ শে এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে ১০০ দিনের কাজ সহ, বাংলার আবাস যোজনায় গরিব মানুষের বাড়ি, গ্রামীণ সড়ক যোজনার মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণের উপর জোর দেন। বলা হয়, রাজ্যের ২২ টি জেলায় একটি করে শোয়ার ঘর, বারান্দা, রান্নার জায়গা ও শৌচাগার নির্মানের জন্য নাগরিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে চলে যাবে। এবং জঙ্গলমহলের মানুষেরা পাবেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। তবে এই অর্থ নিয়ে কোন অভিযোগ আসলে তিনি কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
নিযুক্ত করা হল চলে যাওয়া অফিসারকেও
করোনা সংক্রমণের জেরে পূর্বেকার বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পের আয়ত্তায় ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার বাড়ি তৈরি কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে আবার ১০ লক্ষ বাড়ি তৈরির কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কাজ দ্রুততার সাথে করবার জন্য পঞ্চায়েত দফতর থেকে চলে যাওয়া ১০০ দিনের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার দিব্যেন্দু সরকারকে আবারও পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পদে নিযুক্ত করা হয়েছে।
হবে নতুন কাজের ঠিকানা
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন ছাদ হীন মানুষেরা মাথা গোজার আশ্রয় পাবে, তেমনই ১০০ দিনের কাজের ফলে রোজগারের মুখ দেখ দেখতে পাবে প্রচুর সংখ্যক বেকার হয়ে পড়া শ্রমিক। আমফানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষেরাও পেতে পারেন এই ঘর। বিশেষত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলার মানুষজন পাবেন এই ঘর।